হিমাচল প্রদেশে ক্রস ভোটিং, কংগ্রেস প্রার্থীর হারে উচ্ছ্বসীত বিজেপি, ক্রস ভোটিং কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশেও

হিমাচল প্রদেশে  কংগ্রেস সরকার টলমল। এমনটাই দাবি বিজেপির। মঙ্গলবার ৬ কংগ্রেস বিধায়ক-সহ ৯ বিধায়কের ক্রসভোটিংয়ের জেরেই রাজ্যের রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পদ্ম শিবিরের। হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের ইঙ্গিত, সুখবিন্দর সুখুর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে।  রাজ্যসভা ভোটে হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি মঙ্গলবার ক্রস ভোটিং হল উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকেও। তবে হিমাচলের মতো শাসকদল নয়, ওই দুই রাজ্যে ঘর ভেঙেছে বিরোধীদের। এদিকে, ক্রস ভোটিং-এর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী হর্ষ মহাজনের কাছে।

হিমাচল প্রদেশের বিধানসভায় ৬৮ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ২৫ জন বিজেপির। রাজ্যে কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা ৪০। নির্দল বিধায়ক ৩ জন। যদি ওই ৩ নির্দল ও ৬ কংগ্রেস বিধায়ককে মুঠোয় রাখতে পারে বিজেপি তাহলে তারা পৌঁছে যাবে ৩৪-এ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩৫ বিধায়ক। অর্থাৎ আর দু-একজন কংগ্রেস বিধায়ককে নিজেদের দিকে নিতে পারলেই হিমাচলেও ‘অপারেশন লোটাস’ সাফল্য পাবে।

কিন্তু এবার ক্রসভোটিংয়ের পরে আস্থাভোটের দাবি জানাতে পারে গেরুয়া শিবির। যদিও এখনও এই সংক্রান্ত কোনও ফলাফল ঘোষিত নয়, তবু রাজ্যের বিরোধী নেতা জয়রাম ঠাকুরের দাবি, সেরাজ্যের কংগ্রেস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। যদি সত্যিই আস্থা ভোট হয়, এবং শেষপর্যন্ত কংগ্রেসকে হারতে হয় তাহলে যে তা কংগ্রেস শিবিরের জন্য খুব বড় ধাক্কা হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের আগে, তা বলাই বাহুল্য। দেশে মাত্র তিনটি রাজ্যে রয়েছে কংগ্রেসের সরকার। সেখান থেকে হিমাচলও হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশে প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র পাঁচ বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে। অন্যদিকে, কর্নাটকে শাসকদল কংগ্রেসের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এসটি সোমশেখর গৌড়া।

আগামী এপ্রিলে ১৫টি রাজ্যের ৫৬ জন রাজ্যসভার সদস্য অবসর নিতে চলেছেন। উত্তরপ্রদেশের ১০ জন ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ, অন্ধ্রপ্রদেশের তিন, বিহারের ছয়, ছত্তিশগড়ের এক, গুজরাতের চার, রাজস্থানের তিন, হরিয়ানার এক, হিমাচল প্রদেশের এক, কর্নাটকের চার, মধ্যপ্রদেশের পাঁচ, মহারাষ্ট্রের ছয়, তেলঙ্গানার তিন, উত্তরাখণ্ডের এক এবং ওডিশা থেকে তিন জন নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যগুলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের বিধায়ক সংখ্যার অনুপাতে প্রার্থী দিলেও ভোট হয় উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং হিমাচল প্রদেশে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − one =