এগারো ম্যাচ অপরাজিত ছিল ওডিশা এফসি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তাদের শেষ ম্যাচ ছিল এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ ১-১ ড্র করেছিল। দীর্ঘ দিন বিশ্রাম পেয়েছেন ওডিশা এফসি ফুটবলাররা। উল্টোদিকে আজ ছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের মোহনবাগান। জয়ের হ্যাটট্রিকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল সবুজ মেরুন শিবির। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনার ম্যাচ। যদিও কেউ কাউকে ছাপিয়ে যেতে পারল না। শেষ অবধি গোলশূন্য ড্র। তবে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ম্যাচ বলাই যায়। আরও একটা লড়াইয়ে নজর ছিল এই ম্যাচে।
এ মরসুমের শুরু থেকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে ছিলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। ফেরান্দো বিদায়ের পর কোচের দায়িত্ব নিয়েছে। তবে কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের। নাম যদিও আলাদা ছিল। আর হাবাসের কোচিংয়ে দীর্ঘ দিন খেলেছেন রয় কৃষ্ণা। মোহনবাগানের এই প্রাক্তনী এখন খেলেন ওডিশা এফসিতে। হাবাসের কোচিংয়ে দীর্ঘ সময় খেললেও প্রথম বার হাবাসের বিরুদ্ধে খেললেন। যদিও গুরুর পরিকল্পনার কাছে আটকে গেলেন আইএসএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বিদেশি রয় কৃষ্ণা।
সেরা ম্যাচ, রুদ্ধশ্বাস যাই বলা হোক, আপশোস থাকবে দু-দলেরই। তবে সবচেয়ে বেশি আপশোসের কথা মোহনবাগান সমর্থকদের। প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত সবুজ মেরুন। হয়তো ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াত সেই মুহূর্ত। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে অনবদ্য বল ছাড়েন সাহাল আব্দুল সামাদ। আর্মান্দো সাদিকু ও গোলের মাঝে শুধুই অমরিন্দর। সাদিকুর কাছে দুর্দান্ত সুযোগ ছিল দলকে এগিয়ে দেওয়ার। আর একটু সময় নিলে হয়তো সেটা পারতেন। দ্রুত শট নেন। ওডিশা এফসির অভিজ্ঞ গোলকিপার অমরিন্দর সিং পা স্ট্রেচ করে সাদিকুর শট বাঁচিয়ে দেন। বলা ভালো বাঁচিয়ে দেন ওডিশা এফসিকেও।