নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আধার কার্ড বাতিলের জেরে আতঙ্কে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কাঁকসা ব্লকের ১১ মাইল শ্যামবাজার কলোনি ও রাধামোহনপুর এলাকায় ১১ জনের আধার কার্ড বাতিলের খবর আসায় আতঙ্কে পড়েন সেখানকার মানুষ। আধার কার্ড বাতিল হওয়ার কারণে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে একজন রয়েছেন বীরভূমের কবি জয়দেব মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আধার কার্ড বাতিল হওয়ায় প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় বসতে পারছিলেন না ছাত্রীটি। মঙ্গলবার কলেজে গিয়ে তাঁর সমস্যার কথা জানিয়ে পরীক্ষায় বসার লিখিত আবেদন জানাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর আবেদন স্বীকার করে পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়ার পরেই ওই ছাত্রীর পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা হওয়ায় রাজ্যের মুখমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আশা বিশ্বাস ও তাঁর পরিবার। অন্যদিকে এলাকার মানুষের দাবি, আধার কার্ড বাতিল হওয়ায় অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না। এদিকে কাঁকসার ১১ মাইল এলাকায় যে সমস্ত মানুষের আধার কার্ড বাতিল হয়। সেই সমস্ত মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের আধার কার্ডগুলি নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে বিজেপির গলসি ৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে।
বিজেপি নেতা রাজীব রায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়াকে এই বিষয়ে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলতেই তিনি নাকি সমস্ত আধার কার্ড পুনরায় অ্যাকটিভ করা করিয়েছেন।
অন্যদিকে এই খবর পাওয়ার পরই কাঁকসার ১১ মাইলে আশা বিশ্বাসের বাড়িতে যান রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সকলকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি দাবি করেন, কে এত বড় মস্তান যে বাড়ি থেকে আধার কার্ড তুলে নিয়ে যাবে। সিএএ নিয়ে বিজেপি সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রশাসনকে তিনি এই বিষয়ে নজর দেওয়ার আবেদন জানাবেন যাতে অচেনা কেউ ভুল বুঝিয়ে তাঁদের আধার কার্ড যাতে নিতে না পারে।
এদিন প্রদীপ মজুমদার বিজেপির ওই নেতাকে ও বিজেপিকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।