পেত্রাতোসের বুদ্ধিদীপ্ত গোলে ‘লাভ’ মোহনবাগানের

আর অপরাজিত থাকা হল না এফসি গোয়ার। এ বারের আইএসএলে বিধ্বংসী ফর্মে এই দলটি। প্রথম ১২ ম্যাচের মধ্যে ৮টি জিতেছিল তারা। বাকি চার ম্যাচ ড্র। ১৩ নম্বর ম্যাচটা আনলাকি থার্টিন হয়ে দাঁড়াল। তাদের ঘরের মাঠে অনবদ্য জয় মোহনবাগানের। ভালোবাসার দিনে তিন পয়েন্ট ‘লাভ’ সবুজ মেরুন শিবিরের। রেফারি ভাগ্যও সঙ্গ দিল না গোয়ার। বরং মোহনবাগান ১-০’র বদলে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে রেফারিং নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। চিত্রটা অবশ্য বদলায় না। এই ম্যাচেও মোহনবাগান পেনাল্টি দেওয়া হল না মোহনবাগানকে। ম্যাচের ৬৩ মিনিটের ঘটনা। পরিবর্ত হিসেবে নামা জনি কাউকোকে ফাউল করেন এফসি গোয়ার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জাবালা। রেফারি হয়তো ভেবেছিলেন বল ক্লিয়ার করেছেন। যদিও রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায়, এফসি গোয়া ডিফেন্ডার জাবালা প্রথমে কাউকোর পায়ে পারেন, এরপর বলে পা লাগে। পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল মোহনবাগানের।

সেই মুহূর্তে রেফারি ‘ভাগ্য’ বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন হোম টিম গোয়াকে। অবশেষে ৭৪ মিনিটে গোল মোহনবাগানের। সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। তাঁর বুদ্ধিতেই বাজিমাত। গোলের সেলিব্রেশনও করলেন ‘প্রেম’ দিবসের স্টাইলেই। লিস্টন কোলাসোকে লক্ষ্য করে বল বাড়িয়েছিলেন জনি কাউকো। যদিও কোলাসো পৌঁছনোর আগে বিপদ বুঝে বেরিয়ে আসেন গোয়ার গোলরক্ষক অর্শদীপ সিং। বক্সের বাইরে বল থাকায় হাত দিয়ে ধরতে পারতেন না। স্লাইড করে বল পাস করেন। গোয়ার প্লেয়ার বল ধরার আগেই ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে আসেন পেত্রাতোস।

গোলকিপার অর্শদীপ এগিয়ে ছিলেন। চিপ শট নেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। গোলকিপারের ওপর দিয়ে বল পাঠান। গোল করেই স্পেশাল সেলিব্রেশন দিমিত্রির। ফ্লাইং কিসও দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বক্সের ডানদিক থেকে আবারও গোলকিপারের উপর দিয়ে একটি শট নিয়েছিলেন পেত্রাতোস। অল্পের জন্য তা বেরিয়ে যায়। তবে গোয়াকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে তিন পয়েন্ট নিয়েই ফিরছে হাবাসের দল। ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার কাছে ১-৪ ব্যবধানে হেরেছিল মোহনবাগান। তার বদলাও নেওয়া হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =