কাল সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার এমনটাই জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। রাজভবন সূত্রে খবর, সন্দেশখালির ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের থেকে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। শনিবার রাজ্যপাল বোসকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘোষণা করেছিলেন, সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যপাল দ্রুত পদক্ষেপ না করলে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালি যাবেন তিনি। ঘটনাচক্রে, এর পরেই রাজভবনের এই তৎপরতা নজরে এল। শুভেন্দুর ঘোষণার পর শনিবার রাতে কড়া বিবৃতিও দিয়েছিলেন বোস।
এখনও অশান্তির আগুন জ্বলছে সন্দেশখালিতে। শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে আতঙ্কে কাঁটা এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি শিবু হাজরা ও শাহজাহানকে। এদিকে শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। সব মিলিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা। এই পরিস্থিতিতে কেরল সফর কাটছাঁট করে বাংলায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। কাল সন্দেশখালি যাবেন তিনি। খতিয়ে দেখবেন পরিস্থিতি।
রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল কেরলে ছিলেন। সেখানে বাঙালিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সন্দেশখালির পরিস্থিতি যে দিকে গড়িয়েছে, তাতে তিনি কেরল সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা তাঁর। তার পর সেখান থেকে সোজা সন্দেশখালির উদ্দেশে রাজ্যপাল রওনা দেবেন বলে জানিয়েছে রাজভবনের সূত্র। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে, সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের থেকে সবিস্তার রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। সন্দেশখালির ঘটনাবলী নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারেরও আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।