নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: সর্ষের মধ্যেই ভূত! কোনও রকম নথি ছাড়াই একটি বালিবোঝাই ট্রাক আটক করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় চালক ও খালাসিকে। তারপরেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আটক হওয়া গাড়িতে থাকা এক শ্রমিকের দাবি, তাঁরা বিষ্ণুপুর এমভিআই জোন থেকে বালিবোঝাই করে হাসনাবাদের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না। তাঁদের কাছে কাগজ হিসাবে ছিল বিষ্ণুপুর এআরটিও সাহেবের সই ও সিলমোহর দেওয়া একটি কাগজ। সরকারি রয়্যালটি দেওয়ার কোনও রকম কাগজ ছাড়াই সেই কাগজে উল্লেখ রয়েছে, গাড়িচালক বিষ্ণুপুর এআরটিও সাহেবের কাছে পরিবহণের অনুমতি চাইছেন, একটি গাড়িতে ওভারলোড বালি আনার জন্য বিষ্ণুপুর এআরটিও ফাইন করেন অতিরিক্ত বালি এই একটি গাড়িতে যাতে হাসনাবাদে নিয়ে যেতে পারে। এরপরে এই অনুরোধের পর বিষ্ণুপুর এআরটিও পরিবহণের অনুমতি দেন এবং কাগজের ওপর সই ও সিলমোহর দিয়ে দেয় এআরটিও সাহেব।
যদিও বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ ঘোষের দাবি, সরকারি কোনও আইন নেই এইভাবে ওভারলোডেড বালি পরিবহণে পারমিশন দেওয়ার। তবে তিনি জানান, এই ঘটনার অভিযোগ তিনি পেয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার অফিসার বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছেন। সরকারি নিয়ম বিরুদ্ধ কোনও কাজ যদি কোনও অফিসারও করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, বিষ্ণুপুরের চুরামণিপুরে রয়েছে একটি এমভিআই পার্কিং জোন, এই পার্কিং জোনে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি রয়্যালটি ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি কারবার চলছিল এআরটিও সাহেবের মদতেই। বিষ্ণুপুর এআরটিও সাহেবের কাছে এই অভিযোগের কথা জানতে গেলে তিনি মুখ খুলতে রাজি হননি। তিনি জানান, সমস্ত কিছু মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেবেন মহকুমাশাসক। মহকুমা শাসকের দাবি, এই এমভিআই পার্কিংয়ের কতটা বৈধতা রয়েছে, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে।