নামটাই আলাদা। বাকি সব যেন এক। বোলিং অ্যাকশন থেকে অভিব্যক্তি, দেখতে ডেল স্টেইনের মতোই। বোলিংও করলেন কিংবদন্তি স্টেইনের মতো। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আগের ম্যাচগুলো ব্লুমফন্টেনের মংগং ওভালে খেলেছে ভারত। সেমিফাইনাল বেনোনির উইলমোর পার্ক স্টেডিয়ামে। নতুন ভেনুর পরিস্থিতি বুঝে নিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক উদয় সাহারণ। রান তাড়ায় ভারতকে প্রবল চাপে ফেলেন তরুণ ‘ডেল স্টেইন’। শেষ অবধি ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে ভারত।
প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে সুযোগ কাজে লাগান ভারতীয় বোলাররাও। বিশেষ করে বলতে হয় নতুন বলে রাজ লিম্বানির কথা। সুইং এবং গতিতে বিব্রত করছিলেন। প্রথম স্পেলেই জোড়া উইকেট নেন রাজ। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। যদিও কিপার ব্যাটার লুয়ান্দ্রে প্রিটোরিয়াস এবং রিচার্ড সেলেস্টোন অনবদ্য ইনিংস খেলেন। শেষ অবধি ভারতে ২৪৫ রানের লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ফাইনালের পথে ভারতের শুরুটা একেবারেই ‘আদর্শ’ হয়নি। ইনিংসের প্রথম বলেই কোয়েনা এমপাখার বডিলাইন ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড আদর্শ সিং। এরপর স্টেইন গান। তাঁর নাম ত্রিস্তান লুস। স্টেইনের মতো অ্যাকশনই শুধু নয়, পিচ থেকে সুইং, বাউন্সও আদায় করে নিলেন। প্রথম স্পেলে ৬ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ত্রিস্তান লুস। এক ওভার মেডেনও দেন।
ভারতকে খাদ থেকে তোলে সচিন দাস ও ক্যাপ্টেন উদয় সাহারণের অনবদ্য জুটি। শতরানের কাছ থেকে ফেরেন সচিন। ৯৬ রানে ব্যাট করছিলেন। এমপাখার স্লোয়ারে কভারে ক্যাচ ওঠে। সেঞ্চুরি মিস সচিনের। উদয় সাহারণ তখনও ক্রিজে থাকায় ভরসা ছিল ভারতের। শেষ দিকে বলে বলে রান প্রয়োজন ছিল। ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে মুরুগান অভিষেক আউট হতেই চাপ বাড়ে। রাজ লিম্বানিকে নিয়ে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন ক্যাপ্টেন। উইনিং রান নিতে গিয়ে রান আউট হন উদয় (৮১)। রাজ লিম্বানির ব্যাটেই উইনিং রান আসে।