মালদা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মালদায় থাকাকালীন নাবালিকা ছাত্রী নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেল, তাহলেই বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোথায়? রবিবার সকালে মৃত ১১ বছর বয়সি পঞ্চম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্য প্রশাসনকে এই ভাবেই নিশানায় নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
এদিন মৃত নাবালিকা পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর ইংরেজবাজার শহরের পুড়াটুলি বাঁধরোড এলাকার বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, মালদায় ড্রাগসের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। যে ছেলেটি ওই নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করেছে, সেই শ্রীকান্ত কেশরী মাদকাসক্ত ছিল। আমরা মৃত ছাত্রীর বাবার সঙ্গেও কথা বলে তা জানতে পেরেছি। এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ ও প্রশাসন যে ব্যর্থ তার প্রমাণ আজও সবাই দেখতে পাচ্ছে। কারণ, ইংরেজবাজারের আম মার্কেটের যেখানে ওই ছাত্রী দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে আজও চশমা পড়ে রয়েছে। দেহ উদ্ধারের জায়গাটা কোনও রকম ভাবে ঘেরা হয়নি। ফলে সেখানে প্রমাণ কি থাকবে?
আমাদের ধারণা একা ওই অভিযুক্তের পক্ষে এইভাবে মুন্ডু কেটে খুন করাটা অসম্ভব ব্যাপার। পুলিশকে দেখতে হবে এর পিছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা। এদিন সুকান্ত মজুমদার দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে মৃত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সৃষ্টি কেশরীর বাড়িতে যান এবং ছাত্রীর বাবা মনোজ কেশরীর সঙ্গেও কথা বলেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সমবেদনা জানান। এরপরই ইংরেজবাজার শহরের বিজেপির জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে ড্রাগসের বেআইনি কারবার নিয়ে অভিযোগ উঠছে। অথচ পুলিশ নীরব রয়েছে। আমাদের ধারণা এই ড্রাগ চক্রের পিছনে বড় কোনও মাথা জড়িত রয়েছে। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই নাবালিকা ছাত্রীটি নিখোঁজ হয়ে গেল। তার বাবা ইংরেজবাজার থানায় গিয়ে অপহরণের অভিযোগও করলেন।
৩০ জানুয়ারি মালদায় মুখ্যমন্ত্রী সভা হল, পুলিশ প্রশাসন তাতেই ব্যস্ত থাকল। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা চাই এই নাবালিকা ছাত্রীর খুনের ঘটনার গভীর তদন্ত হোক।
এদিন অভিনেতা দেব প্রসঙ্গে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, দেব অত্যন্ত ভালো মানুষ। কিন্তু তার একটি সিনেমায় কয়লা পাচার এবং গরু পাচারের কালো টাকা লগ্নি করা হয়েছে। ফলে দেবকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি ডেকে পাঠিয়েছিল। এমনকী দেব তৃণমূলের একটি কমিটিতে থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। আমরা শুনতে পাচ্ছি আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেবের দাঁড়ানোর কোনও ইচ্ছে নেই। তাঁকে এখন জোর করা হচ্ছে।