দু-বার পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। ড্র করেই মাঠ ছাড়ল মোহনবাগান। সবুজ মেরুন শিবির কিংবা কোচ আন্তোনিও হাবাসের কি আনন্দিত হয়েই মাঠ ছাড়া উচিত? ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথম বার ডার্বি থেকে পয়েন্ট তুলল ইস্টবেঙ্গল। একে কি কার্লেস কুয়াদ্রাতের দুর্দান্ত সাফল্য বলা যায়? বাকি কে কী ভাবছেন, সেটা বিষয় নয়। পয়েন্ট ভাগাভাগির পর দুই কোচের মুখেই নানা আক্ষেপ। রেফারি রাহুল গুপ্তর নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রবল অসন্তোষও। ফাইনাল স্কোরলাইন যদিও ২-২ থেকে বদলাবে না।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগই শুধু নয়, ভারতীয় ফুটবলে রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ দীর্ঘ সময়ের। এ বারও একঝাঁক অভিযোগ জমা পড়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে। জরুরি ভিত্তিতে মিটিংও ডেকেছিলেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। রেফারিদের উদ্দেশে পরিষ্কার বার্তাও দিয়েছিলেন। তাতেও বিশাল কিছু উন্নতি হয়নি। ডার্বিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
ম্যাচ শেষে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ক্ষোভ উগরে দিলেন রেফারিং নিয়ে। বলছেন, ‘এত সময় নষ্টের পর মাত্র ৭ মিনিট অতিরিক্ত দেওয়া হল। অন্তত ১২-১৪ মিনিট দেওয়া উচিত ছিল। আর ইস্টবেঙ্গলকে যেটা পেনাল্টি দেওয়া হল, ওটা মোটেও পেনাল্টি ছিল না।’ দলের ড্রয়ে শুরুর ধাক্কাও ভুলছেন না হাবাস। বলছেন, ‘চোটের জন্য শুরুতেই আনোয়ারকে তুলে নিতে হল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রেন্ডন হ্যামিলকেও পরিবর্তন করতে হল।’ ডার্বি ম্যাচে দু-দলই তাগিদ দেখাবে এ অজানা নয় হাবাসের কাছে। রেফারিং, আক্ষেপের মধ্যেও ভুলছেন না, তাঁর দলকে আরও উন্নতি করতে হবে।
ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত পরিষ্কার বলছেন, দুর্ভাগ্য। কার্লেসের মতে, ‘বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে। তবে আমার প্লেয়ারদেরও ভুল আছে। সাহালকে ওখান থেকে অ্যালাও করা উচিত হয়নি নন্দকুমারের। আইএসএল ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল প্রথম পয়েন্ট পেল। কিন্তু সেটা তিন পয়েন্ট হওয়া উচিত ছিল। পুরো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারাটা আমাদের কাছে লজ্জার।’