শনিবার হাওড়ার দিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোলপ্লাজাতে চলমান গাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল ছড়ায়। টোল প্লাজার ১৮ নম্বর কাউন্টারের কাছে আগুন লেগে যায় গাড়িতে। দাউ দাউ করে চার চাকা গাড়িটি জ্বলতে থাকে। আগুনের ফুলকি দেখতে পেয়েই গাড়ির দুই আরোহী গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। গাড়ির আগুন জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন প্লাজার কর্মীরা। কিন্তু তাদের কাছে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত জল বা সামগ্রী ছিল না। ফলে আগুন গোটা গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর দেওয়া হয় দমকল এবং সেতুর উপর কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। সূত্রের খবর, গাড়িটি কলকাতার গিরিশ পার্ক থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল। টোলপ্লাজাতে এসেই ঘটনাটি ঘটে। গাড়িতে দু’জন আরোহী ছিলেন তারা নিরাপদে রয়েছেন। গাড়ির মালিক প্রিয়ম শর্মা বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী গিরিশ পার্ক থেকে হাওড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। টোল প্লাজায় আসার পরে আমাদের গাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। তখন আতঙ্কে আমরা দুজনে গাড়ি থেকে নেমে পড়ি। সেই সঙ্গে গাড়িতে যে সমস্ত জিনিসপত্র ছিল সেগুলি আমরা তাড়াতাড়ি সঙ্গেবাইরে বের করে আনি। যদিও গাড়ির পেছনে থাকা সুটকেস বাইরে বের করতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাড়ি থেকে নেমে পিছনে তাকাতেই দেখি গাড়ির সামনের দিকে আগুন জ্বলছে। এরপর টোল প্লাজার লোকজন দমকলে খবর দেন। যদিও দমকল আসার আগে গোটা গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এমন ঘটনার জেরে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। টোল প্লাজার কর্মীরাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে* দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’ দমকল ও পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গাড়িতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই আগুন লেগেছে। দমকলের স্টেশন অফিসার সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এনে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। গাড়ির বেশিভাগ অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ আহত হয়নি। শট সার্কিট থেকে গাড়িতে আগুন লেগেছে।’ গোটা গাড়িটাই আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
কলকাতা ও হাওড়ার যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই দ্বিতীয় হুগলি সেতু। রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্নে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ভিভিআইপিদের অনেকেই এই সেতু ব্যবহার করেন। ফলে সেই দিক থেকে দেখতে গেলে, ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু। আর সেখানেই এহেন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার জোরে সেতুতে তীব্র* যানজট সৃষ্টি হয়। পরে গাড়িটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।