হ্রদ, পাহাড়, চিনার, উইলো ট্রি, ঘন সবুজ বন, হাউজবোট। সবমিলিয়ে ভূস্বর্গ কাশ্মীর (Kashmir)। পাহাড়ি এই জনপদ শীত পড়লেই ঢেকে যায় বরফে। গুলমার্গে, সোনমার্গে প্রকৃতি যেন বিছিয়ে দেয় তুষার চাদর।ঋতু ভেদে কাশ্মীরের এক এক রূপ। জানেন কি অপূর্ব সুন্দর এই কাশ্মীরেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইগলু ক্যাফে (Igloo cafe)।
ভাবছেন সেটা আবার কী? ইগলু হল বরফের দেশে তৈরি বরফের গোলাকার ঘর। সেই ঘরেই তৈরি হয়েছে ক্যাফে। যেখানে গরম কফি থেকে কাশ্মীরি কাওবা, পেয়ে যেতে পারেন অনেক কিছুই।
বরফ ঢাকা গুলমার্গে এই ক্যাফে তৈরি হয়েছে বরফ দিয়ে। চেয়ার, টেবিল সবই বরফে মোড়া। ক্যাফের দেওয়াল, ছাদে রয়েছ বরফের কারুকাজ। সইদ ওয়াসিম শাহ, ক্যাফের অন্যতম কর্ণধার। তিনি জানালেন, কাশ্মীরের ইগলু ক্যাফেটির উচ্চতা ৩৭.৫ ফুট, ব্যাস ৪৪.৫ ফুট। বরফের দেওয়ালটি ৫ ফুটের। সুইত্জারল্যান্ডে এতদিন বিশ্বের বৃহত্ ইগলু ক্যাফে বলে যেটা গিনেস বুকে রেকর্ডেড ছিল সেটার উচ্চতা ৩৩.৮ ফিট। ব্যাস ৪২.৪ ফিট। হিসেব মাফিক এখন কাশ্মীরের ক্যাফেটাই বড়। তাই একেই এখন বিশ্বের সর্ববৃহত্ ক্যাফে বলে ধরা চলে।
এই ক্যাফের ভাবনা সুইত্জারল্যান্ডের ইগলু ক্যাফে দেখেই এসেছিল জানালেন সইদ।গুলমার্গও সে দেশের মতো তুষার চাদরে ঢাকা পড়ে। তাহলে এখানে কেন নয়? সেই ভাবনা থেকেই গত বছর তৈরি হয় ইগলু ক্যাফেটি।এখানে একসঙ্গে ৪০ জন খেতে পারেন। গুলমার্গের ইগসু ক্যাফে মার্চ পর্যন্ত ঠিকই থাকবে আশাবাদী ক্যাফেটির কর্ণধার।
এই সময়ের মধ্যে কাশ্মীর গেলে, এমন সুযোগ হাতছাড়া করা কিন্তু বোকামি হবে।