বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জোট বদলের জল্পনার মধ্যেই শনিবার এই দাবি করলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ।
জাতীয় রাজনীতিতে জল্পনা, জোট বদলে আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। গত এক দশকে এই নিয়ে চতুর্থ বার! সোমবার নীতীশের পাশাপাশি বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদি। বিহার রাজনীতিতে যিনি, ‘নীতীশ ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত।
এদিন রমেশ বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে বলতে পারি যে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে এক বার নয়, একাধিক বার কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি।’
শনিবার রাতে জেডিইউ বিধায়কদের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা’ (হাম)-র নেতা জিতনরাম মাঝিঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন শনিবার।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটকে একজোট রাখতে ও বিহারের রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান করতে তিনি ও তাঁর দল আপ্রাণ চেষ্টা করবে।’ এদিন বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানি না নীতীশের মনে কী চলছে। আগামিকাল আমি দিল্লি যাচ্ছি। তখনই সমস্ত তথ্য পাব। দেখা যাক কী হয়।’ এদিকে রবিবার সকালে জেডিইউ নেতারা একটি বৈঠক করবেন। আর তার পরই রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকারের কাছে গিয়ে নতুন সরকার গড়ার দাবি জানাবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে রবিবার সন্ধ্যা কিংবা সোমবার সকালেই তাঁর শপথ নেওয়ার কথা। তার আগে শনিবারই বিজেপি বিধায়করা নাকি তাঁদের স্বাক্ষরিত চিঠি দেবেন নীতীশকে। সেই চিঠিতে একেবারে লিখিত ভাবে সমর্থন জানানো হবে জেডিইউ সুপ্রিমোকে। এমনই গুঞ্জন।