ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রান করে। তাতে অবশ্য পরিষ্কার ইঙ্গিত ছিল, এই ম্যাচ সহজ হচ্ছে না ভারতের জন্য। তবে রবীন্দ্র জাডেজার সৌজন্যে দ্বিতীয় দিন শেষে দারুণ জায়গায় ভারত। এমনকি এখান থেকে ইনিংসেও জেতার স্বপ্ন দেখা যেতে পারে। বোলিংয়ে তিন উইকেট নিলেও জাডেজার ইকোনমি রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা কি তাঁর যাবতীয় পরিকল্পনা ধরে ফেলছেন? বোলিং নিয়ে প্রশ্নের মাঝে ব্যাট হাতে আরও একটা অনবদ্য ইনিংস। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত ৪২১-৭। এগিয়ে ১৭৫ রানে।
প্রথম দিন মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান তুলে নিয়েছিল ভারত। যদিও হায়দরাবাদের পিচ থেকে প্রথম দিনই স্পিনাররা যেভাবে সাহায্য পাচ্ছিলেন, ভারত প্রথম ইনিংসে কতটা লিড নিতে পারবে সেটাই সন্দেহ ছিল। একটা সময় মনে হয়েছিল লিড একশো পেরোবে না। দ্বিতীয় দিন যাবতীয় হিসেব বদলে দিলেন ব্যাটার রবীন্দ্র জাডেজা। দিনের শেষ সেশনে তেমনই দাপট অক্ষর প্যাটেলের। ক্রিজে দুই বাঁ হাতি ব্যাটার। সেট হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বাঁ হাতি স্পিন কিংবা ডান হাতি রিস্ট স্পিন, কোনও পরিকল্পনাই কাজে দিল না।
টপ অর্ডারে যশস্বী থেকে শুরু করে জাডেজা। প্রত্যেকেই ব্য়াট হাতে অবদান রাখলেন ভারতীয় ইনিংসে। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে স্বস্তি হতে পারে শ্রীকার ভরতের পারফরম্যান্স। তাঁকে খেলানো নিয়ে দ্বিধা ছিল। ঘরের মাঠে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগালেন। নড়বড়ে ইনিংস হলেও ৪১ রানের অবদান রাখেন ভরত। তবে এই ম্যাচ যেন রবীন্দ্র জাডেজার। তাঁর জন্য সবরকম মঞ্চই প্রস্তুত। আরও একটা টেস্ট সেঞ্চুরির অপেক্ষা জাডুডর ব্যাটে। তেমনই দু-প্রান্তেই যেভাবে ফুটমার্ক তৈরি হয়েছে, দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতেও দাপট দেখানোর অপেক্ষা জাডেজার।