স্বস্তিতেই প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষ করল ভারত

চ্যালেঞ্জ অ্যাক্সেপ্টেড। দিনের শুরুতে নিজেকে যেন এটাই বলেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। টস জিতেই ব্যাটিং নেন। তাঁর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। সতীর্থরা পুরোপুরি সেই সিদ্ধান্ত কাজেও লাগাতে পারলেন না। ভারতের পিচে বাজবল কতটা সাফল্য পাবে, এই নিয়ে সন্দেহ ছিলই। এই দ্বিধাতেই যেন অস্বস্তি বাড়ে ইংল্যান্ড শিবিরে। ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ৫৫ রান। ভারত যখনই একটা উইকেট নিয়েছে, অল্প সময়ের ব্যবধানে আরও। সেখানে ভারত প্রথম দিন শেষ করল ১১৯-১ স্কোরে। যশস্বীর আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে প্রথম দিন অ্যাডভান্টেজে ভারত।

ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ৫৫ রানে ভাঙে। দ্রুতই ৬০-৩। এরপর একটা জুটি। চতুর্থ উইকেট পড়ে ১২১ রানে। আবারও অল্প সময়ের ব্যবধানে হয়ে দাঁড়ায় ১৫৫-৭। বেন স্টোকস মরিয়া চেষ্টা করেন একদিক থেকে আগলে রাখতে। ছোট ছোট পার্টনারশিপ গড়েন। ২৪৬ রানে ইনিংস শেষ ইংল্যান্ডের। পিচের পরিস্থিতি থেকে বলা হচ্ছিল, এই স্কোর অনেকটাই বড়। যদিও যশস্বী জয়সওয়ালের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলছে, ভারতীয় শিবিরকে স্বস্তি দিচ্ছে।

বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরু, বাউন্ডারি মেরে হাফসেঞ্চুরি পার। মাত্র ৪৭ বলে হাফসেঞ্চুরির পরও খেই হারাননি যশস্বী। তবে উল্টোদিক থেকে অধিনায়ক রোহিত শর্মা আউট হওয়ায় সাময়িক স্লো হয়েছিলেন। তিনে নামা শুভমন গিল সতর্ক ব্যাটিং করেন। তিনি ফর্মে নেই। যশস্বী বিধ্বংসী ফর্মে ব্যাটিং করছেন। শুভমনের এই ভূমিকাই কাম্য। সেটাই করলেন। প্রথম দিনের শেষে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ১১৯ রান তুলে নিয়েছে ভারত। যশস্বী মাত্র ৭০ বলে ৭৬ রানে ক্রিজে। প্রথম দিনের শেষ সেশন বলা ভালো যশস্বীর সেশন। ভারত পিছিয়ে ১২৭ রানে। ৯ উইকেট হাতে থাকায়, খুব একটা চাপের নয় ভারতীয় শিবিরের। নতুন দিনে কী হয়, তার ওপর নির্ভর করছে।

শুরুতে উইকেটের জন্য অতিরিক্ত মরিয়া ছিল ইংল্যান্ড। বোলারের উত্তেজনায় সাড়া দেন বেন স্টোকস। ১৪ ওভারের মধ্যেই তিনটি ডিআরএস-ই শেষ ইংল্যান্ডের। যা আরও অস্বস্তি ইংল্যান্ড শিবিরে। দ্বিতীয় দিন পিচ থেকে এমনই বাউন্স থাকবে, এমনটা নাই হতে পারে। ফলে লেগ বিফোরের ক্ষেত্রে ক্লোজ কল হলেও রিভিউ নিতে পারবেন না বেন স্টোকস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 9 =