নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবে মেতে ওঠেন আট থেকে আশি সকলেই। এদিন সকাল থেকে বর্ধমান শহরের অধিকাংশ বাড়ির ছাদে ছাদে দেখা যায় যুবক-যুবতীদের ঘুড়ি ওড়াতে। আগে একটা সময় দেখা যেত এই দিনে বর্ধমান শহরের আকাশ জুড়ে শুধুই ঘুড়ি। তবে মোবাইলের যুগে এখন কিছুটা ভাটা পড়েছে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবে।
যদিও কিছু কিছু ছেলেমেয়েরা জানায়, বছরে এই একটা দিন ঘুড়ি না ওড়ালে উৎসবটা মাটি হয়ে যাবে। মোবাইল তো সঙ্গে আছে, তবে সারাদিন ধরে ছাদে ঘুড়ি উড়িয়ে ,অন্যের ঘুড়ি কেটে আনন্দ পাওয়াটা একটু অন্য রকম। এ যেন একটা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। যাদের ঘুড়ি কেটে দেওয়া হয়, তাদের দিকে চিৎকার করে ভোকাট্টা বলে গলা ফাটানোর মজা অনেকটাই আলাদা। যেটা বর্তমান সমাজের যুবক-যুবতীদের মধ্যে খুব কম রয়েছে।
তবে এদিন অনেকের ছাদ থেকে ভোকাট্টা চিৎকার করার পাশাপাশি ঘুড়ি ওড়ানোর সঙ্গে ছাদেই পিকনিক করতে দেখা যায় অনেককে। যদিও সোমবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল থেকেই গোটা আকাশ কুয়াশায় ঢেকেছিল। দুপুরে কিছুটা সূর্যের আলো দেখা দিলেও কনকনে ঠান্ডা ছিল সকাল থেকেই। তার সঙ্গে হাওয়া চলায় এদিন আকাশে বেশ কিছু ঘুড়িও দেখতে পাওয়া যায়।
প্রতি বছরই পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিশেষ করে মকর সংক্রান্তির দিনই এই ঘুড়ি মেলা হয়। অন্যান্য জায়গায় বিশ্বকর্মা পুজো বা সরস্বতী পুজোর সময় ঘুড়ি মেলা দেখতে পাওয়া যায়, তবে বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি মেলা এই মকর সংক্রান্তির সময় দেখা যায়।