তাইওয়ান, ১৪ জানুয়ারি: এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জিতেছেন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির নেতা উইলিয়াম লাই চিং-তে। এবার তিনিই প্রেসিডেন্ট। কনজারভেটিভ কুয়োমিনটাং-র হও ইউ-ই এবং তাইওয়ান পিপলস পার্টি-র কো য়েন-জে’কে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হলেন চিং-তে। চিনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এই ভোট আর লাই চিং-তে-র তাইওয়ানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়া।
কঠিন পরিস্থিতিতে জয়ের পর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেন, ‘গণতন্ত্রের নয়া অধ্যায় লেখার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ। আমরা আন্তর্জাতিক মহলকে বার্তা দিচ্ছি, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে।’ চিনকে অস্বস্তিতে ফেলে তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন লাই চিং তে ওরফে উইলিয়াম লাই। এদিন জয়ের পরই অগুণতি মানুষির ভিড়ে ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যান লাই।
আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আজকের রাতটা তাইওয়ানের। তাইওয়ানকে বিশ্ব মানচিত্রে টিকিয়ে রাখতে সমর্থ্য হয়েছি আমরা। এই নির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্রের প্রতি তাইওয়ানের মানু¡ের দায়বদ্ধতা। আমরা গণতন্ত্র ও কর্তৃত্ববাদের মধ্যে গণতন্ত্রকেই বেছে নিয়েছি তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাতে চাই। আশা করি চিনও এটা বুঝতে পেরেছে। ভবিষ্যতে এই নতুন পরিস্থিতি দেখে তারা নিশ্চয়ই বুঝবে একমাত্র শান্তির রাস্তাতেই দু’দেশের মঙ্গল হতে পারে।’ সেই সঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি, ‘চিনের লাগাতার হুমকির হাত থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে আমরা দায়বদ্ধ।’
তাইওয়ান চিনের সঙ্গে শত্রুতা বাড়াতে চায় না, উলটে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর কথাও শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। উল্লেখ্য, চিন দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে চলেছে। এমনকি, তাইওয়ানকে নিজেদের অধীনে আনার চেষ্টাও চিনের তরফে করা হয়েছে। গোটা বিশ্বের নজর তাইওয়ানের দিকে। চিনকে চটিয়ে নতুন করে সরকার গড়ে আদৌও সফল হবে কি দেশটি?