হাওড়া : কঠিন বর্জ্য প্লাষ্টিক, থার্মোকল বর্জনের সরকারী আদেশনামা, অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার দায়বদ্ধতা তৈরি করার চেষ্টা করছে হাওড়া পৌর নিগম। এই বিষয়ে বিশেষ গণ সচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা হিসাবে বুধবার হাওড়া পৌর নিগমের সামনে বিশেষ প্রচার অভিযান চালান হয়। বিভিন্ন ধরণের কার্টুন ও দু-এক লাইনের ছড়ার মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ধারাবাহিক প্রচার অভিযানের উদ্যোগ গ্রহণ করল হাওড়া পৌর নিগম।
বুধবার দুপুরে এই প্রচার অভিযানের শুভসূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন পুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী সহ অন্যানরা। পুরপ্রশাসক চিকিৎসক সুজয় চক্রবর্তী জানান, যেকোনো চিকিৎসার ক্ষেত্রে দুটো দিক থাকে। একটি সেই রোগকে নিরাময় করা ও রোগীকে সেই রোগ থেকে নিরাপদে রাখা। ঠিক সেভাবেই গত বছরের মার্চ মাসের পর থেকেই হাওড়া নিগম এলাকায় সমস্ত নিকাশি নালা পরিষ্কার ও শহরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ খালগুলোর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মানুষ যাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে তার জন্য লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন ছড়া ও কার্টুনের মাধ্যমে তারা শহরবাসীর মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়াও শহরের সব বাজার এলাকাতে প্লাস্টিকের ব্যাগ বিক্রেতাকে ৫০০ টাকা ও ক্রেতাকে ৫০ টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সেটা শেষ অস্ত্র বলে জানান তিনি। তার আগে সচতনতার প্রচার চালিয়ে যাওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করেন পুর প্রশাসক।
পৌর নিগমের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান শহরবাসীও। হাওড়া শহরের বাসিন্দা শিলা বসু জানান, খুবই ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নগর নিগমের তরফ থেকে। যদি সব মানুষ এই বিষয়ে এগিয়ে আসে তাহলে হাওড়া শহরকে আর জল জমার যন্ত্রনা পেতে হবে না। যদিও পৌর নিগমের এই উদ্যোগকে খোঁচা দিয়ে বিজেপি নেতা উমেশ রাই জানান, পৌর নিগম যে কাজগুলো করছে সেগুলো নিত্যদিনের কাজ। এতে জমা জলের যন্ত্রনা থেকে শহরবাসী মুক্তি পাবে না। জল জমার সমস্যা থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে প্রয়োজন মাস্টার প্লান ও উন্নত প্রযুক্তি। যার কোনোটাই এই পৌর নিগমের নেই। তাই বর্ষার জমা জলের সমস্যা মেটানোর লোকদেখানো প্রয়াস এটি, মন্তব্য বিজেপি নেতা উমেশ রাই-এর।