গত কয়েক মাস ধরে চিনের নিউমোনিয়ার রকম-সকম মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতের স্বাস্থ্যকর্তাদের মধ্যেও। প্রতিটি রাজ্যকেই এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। চিন থেকে ভারতেও এই নিউমোনিয়ার প্রকোপ কোনওভাবে শুরু হতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সূত্রের খবর, কলকাতায় বাঁশদ্রোণীতে বছর দশেকের এক মেয়ের শরীরে খোঁজ মিলেছে মাইকোপ্লাজমা নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার। এই ব্যাকটেরিয়াই অ্যাকিউট নিউমোনিয়ার জন্য দায়ী।
পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, সর্দি ও শুকনো কাশির উপসর্গ দেখা গিয়েছিল মেয়েটির। ধূম জ্বর ছিল গায়ে। তাছাড়া চোখেও সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। চোখ লাল হয়ে ফুলে উঠেছিল। প্রথমে মনে করা হয়েছিল সর্দি-কাশির অ্যাডেনোভাইরাসের সংক্রমণ। কিন্তু পরে মেয়েটির থুতু-লালার নমুনা পরীক্ষা করে ধরা পড়ে মাইকোপ্লাজমা নিউমোনি। চিকিৎসকরা বলছেন, মেয়েটির প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়। তবে নিউমোনিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পরে ধীরে ধীরে মেয়েটি স্থিতিশীল হয়।
এইমুহূর্তে চিনের হাসপাতালগুলিতে থিকথিকে ভিড়। জানা গেছে, এই রহস্যজনক নিউমোনিয়ায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশে। রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর চিনে ßুñল পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে নিউমোনিয়া। এই রোগের উপসর্গ খানিক ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। রোগ নাকি ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে চিনের অন্যান্য প্রদেশে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ßুñলগুলি। বেজিং এবং লিয়াওনিংগে হাসপাতালগুলিতে অজানা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় উপচে পড়ছে বলে দাবি করেছে তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম।