নিজস্ব প্রতিবেদন, লাউদোহা: পিডব্লিউডির তত্ত্বাবধানে লাউদোহা থেকে উখড়া পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে বলে ঠিকাদার রাস্তার বেশিরভাগ অংশ দখল করে নির্মাণ সামগ্রী মজুত করছেন বলে অভিযোগ।
সূত্র মারফত জানা যায়, রাজু মণ্ডল নামে এক ঠিকাদার এই কাজের বরাত পেয়েছেন। তিনি অন্যায় ও বেআইনি ভাবে রাস্তা নির্মাণের সামগ্রী একেবারে রাস্তার অর্ধেক অংশ দখল করে রেখে দেওয়ায় কয়েকদিন ধরেই প্রায় ১০ থেকে ১২ জন এই রাস্তার ওপর দুর্ঘটনা শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে লাউদোহার ফরিদপুর থানার ৫০ মিটার দূরে একটা বাঁকের কাছে। অভিযোগ, বাঁকের কাছে এই রাস্তার ওপর নির্মাণ সামগ্রী চিপস ফেলে রাখায় বোঝা খুব মুশকিল যে রাস্তার ওপর কিছু আছে। কেননা রাস্তার পিচের রঙের সঙ্গে এই চিপসের রং মিশে গিয়েছে। আর তাতেই ঘটছে বিপত্তি।
জানা গিয়েছে, সোমবার পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী বুঝতে না পেরে দুর্ঘটনার শিকার হন লাউদোহার বাসিন্দা রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এছাড়াও সোমবারই ওই জায়গায় বছর ৫১ এর শেখ মজিবুল নামে আরও এক লাউদোহার বাসিন্দা এক ব্যক্তি দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় দুর্গাপুরের একটা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করা স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ দেওয়াসীর দাবি, যে ভাবে রাস্তার ওপর অন্যায় ভাবে নির্মাণ সামগ্রী রেখে দেওয়া হয়েছে, তাতে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে সাংঘাতিক বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। অর্ধেকটা অংশজুড়ে রয়েছে নির্মাণ সামগ্রী, বড় গাড়ি যাতায়াত করলেই ছিটকে আসছে ওই নির্মাণ সামগ্রীর ছোট ছোট পাথর।
তাঁর দাবি, তাঁরা চান অবিলম্বে এই রাস্তার ওপর থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে রাস্তার সারাইয়ের কাজ হোক। অন্যদিকে দুর্ঘটনার শিকার গুরুতর আহত শেখ মজিবুলের এক আত্মীয় লাউদোহার ফরিদপুর থানায় অভিযোগ করতে এসে দাবি করেন, অবিলম্বে রাস্তার ওপর থেকে এ ভাবে জমিয়ে রাখা নির্মাণ সামগ্রী সরানো হোক। আর ঠিকাদারের এই অন্যায়ের জন্য যাঁরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব ঠিকাদারকে নিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
দুর্গাপুর-ফরিদপুর তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি শুনেছেন রাস্তার ওপর অন্যায় ভাবে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে, যার জন্য ঘটেছে দুর্ঘটনা। অবিলম্বে ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওই রাস্তার কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদারকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।