নতুন বছরে ঘরের আনাচ-কানাচে আসুক নতুনের ছোঁয়া

সূর্য। সেই একই। তবু বছরের শেষের পড়ন্ত সূর্যের দিকে তাকালে মনে এটাই এই বছরের শেষ সূর্যাস্ত। নতুন বছরের সূর্যোদয় সেই একইভাবে অন্যরকম হয়ে থাকে।সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা, হতাশা, শিক্ষা দিয়ে একটা বছর শেষ হয়। আসে নতুন।

ঠিক তেমনই আপনার প্রতিদিনের যা সঙ্গী সেই চেনা ঘর, বিছানা, চাদর, বালিশ, ব্যালকনি, কিচেন নতুন বছরে তাতেই আনুন নতুন করে ভালোবাসার ছোঁয়া। চেনা ঘর, আসবাব পত্র নতুন লাগবে সামান্য অদল বদলে।

রইল নতুন বছরে ঘর সাজানোর টিপস…

 

অপ্রয়োজনীয়- আমাদের ঘরে যখন দরকার তখনই জিনিস কিনে ফেলায় একটা সময়ের পর দেখা যায় পা ফেলার জায়গাই নেই। এখানেই দরকার প্ল্যানিং। কিম্বা কোনও একটা সেট যেটা এতদিন ব্যবহার করেছেন তার বদলে নতুন কিছু ঘরে আনতে চান। প্রথমেই যেটা করতে হবে হয় অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাতিল করুন নয়তো সেটা স্টোররুমে সরিয়ে দিন। ঘর থেকে একটা আসবাব সরলেও সেটা অন্য রকম দেখাবে।

ওয়াল ডেকর-

যেমন দেওয়ালে হয়তো টাঙানো রয়েছে কোনও ছবি বা ওয়াল হ্যাঙ্গিং। সেগুলো সরিয়ে দেওয়ালে লাগাতে পারেন কোস্টার স্টাইলের কোনও ডেকরেশন। বা ছোট ছোট ঘরের মতো ডেকরেশন। সেখানে সাজিয়ে দিন ছোট ছোট শো-পিস। সামান্য বদলেই ঘর অন্যরকম লাগবে।শুধু তাই নয় অনলাইনে ৫০০-২৫০০ এর মধ্যে পেয়ে যাবেন এমন অসাধারণ সব দেওয়াল সাজানোর জিনিস। বেড রুম বা লিভিং রুম। কোনও একটা বড় দেওয়ালজুড়ে একটা নতুন ডেকরেশন সাজিয়ে দিলেই চেনা ঘর হয়ে যাবে একদম নতুন, সুন্দর।

 

জুট ডেকর মিরর-

দেওয়ালে আয়না লাগালে দেখতে বেশ ভালো লাগে। সেক্ষেত্রে জুটের কাজ করা আয়না কিন্তু বেশ শৌখিন।রাজস্থানি কাজের, ঝিনুকের নানা ধরনের বিভিন্ন বাজেটের আয়না পাওয়া যায়। আয়নার সঙ্গে ঘরের আলো যদি একটু ভাবনা-চিন্তা করে লাগানো যায় পুরো ঘরের লুকসটাই বদলে যেতে বাধ্য।

 

 

 

পর্দা-

ঘরের সঙ্গে সাজুয্য রেখে পর্দাটাই বদলে ফেলতে পারেন। নতুন বছরে ঘরের জন্য নতুন পর্দা। দু-ধরনের রংয়ের পর্দা, ফ্লোরাল মোটিফের পর্দা বা  সলিড রংঙের পর্দা দুই বা তিনটে কালার একসঙ্গে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে ফেলতে পারেন। আবার ধরুন একরকমে রঙের পর্দা আছে। তার সঙ্গে মিক্স করে আর একটা রং-এর নতুন  পর্দা জুড়ে দিলেন। নতুন-পুরনো দুই পর্দা মিলে অন্য লুক তৈরি হবে।

 

 

হেঁসেলেও বদল-

যে কোনও বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল হেঁসেল বা কিচেন।ছেলেরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও, বাড়ির মহিলাদের অনেকটা সময় সেখানে কাটাতে হয়। কিচেন থাকে ‘হোম মিনিস্টার’- এর হাতেই। এখানেই কারিকুরি করা যায়। ধরুন রোজের নুনের কৌটো, তেলের শিশি, মশলার কৌটো, মাখনের কৌটো এই ধরনের ছোটখাটো জিনিস যদি বদলে ফেলেন, আরও ভাবনা-চিন্তা করে হেঁসেলে জিনিস রাখেন তাহলে কিন্তু সেটাই অন্যরকম লাগবে।ধরুন রান্নাঘরে বাসন, মশলা রাখার তাকগুলো পাল্টে ফেললেন এরকই ছোটখাটো বদল।

চাইলে কোনও একটা সেট ধুয়ে-মুছে তুলে রাখলেন। আবার নতুন সেট ব্যবহার করলেন। এতে জিনিস তেমন তেল চিটে হয়ে নষ্ট হবে না রান্নাঘর দেখতেও অন্যরকম লাগবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − five =