কলকাতার ধাঁচে কেএমডিএ আওতাধীন এলাকায় পুরকর আদায়ের পরামর্শ মন্ত্রী ফিরহাদের

কলকাতার ধাঁচে এবার কেএমডিএ-র আওতাধীন পুরসভাগুলিকেও বিভিন্ন আবাসনে পুরকর আদায়, মিউটেশনের জন্য শিবির করার নির্দেশ দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কারণ, আয় বাড়াতে মাঝেমধ্যেই ৩০টির বেশি ফ্ল্যাট রয়েছে, এমন আবাসনে বিশেষ শিবিরের আয়োজন করতে দেখা গেছে কলকাতা পুরসভাকে। তাতে সাড়াও মেলে।। অনেকেই এই শিবিরে এসে মিটিয়ে দেন বকেয়া সম্পত্তিকর। আবার, মিউটেশন হয়নি যাঁদের, তাঁরাও শিবিরে তা করিয়ে নেন।এ প্রসঙ্গে পুর দফতরের এক কর্তা জানান, আবাসনে শিবিরের মাধ্যমে গত বছর ৮২ কোটি টাকা আয় করেছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা লাগোয়া অন্য পুরসভাও এই আয়োজন করলে একলপ্তে আয় অনেকটাই বাড়বে-এমনটাই দাবি পুর দফতরের আধিকারিকদের।

এদিকে বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, দমদম, উত্তর দমদম, বরাহনগর পুরসভার অনেক বাসিন্দাই দুয়ারে সরকার-এর ধাঁচে আবাসনে সম্পত্তিকর, মিউটেশনের জন্য শিবির করার আবেদন মাঝেমধ্যেই করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র অন কল অনুষ্ঠানে। ঘটনাচক্রে, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমই রাজ্যের পুরমন্ত্রী। সে কারণেই বাসিন্দাদের আবেদন মেনে কলকাতা লাগোয়া পুর এলাকাগুলিতে সম্পত্তিকর, মিউটেশনের জন্য আবাসনে শিবির হোক-এমনটাই চাইছেন পুরমন্ত্রী। আর সেই কারণেই পাশাপাশি, পাড়াতেও এই রকমের শিবির আয়োজন করে আয় বাড়ানোর সুপারিশ করেছে পুর দফতর। এবার এই নির্দেশ দেওযা হল কলকাতা পুরসভা সংলগ্ন এলাকাতেও। যার মধ্যে মূলত রয়েছে বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, দমদম, উত্তর দমদম, বরাহনগর, কামারহাটি পুরসভা।

প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রথম আবাসনে আবাসনে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরসভা। করোনার জন্য নেওয়া হয়েছিল এই উদ্যোগ। ওই বছর পুরকর, মিউটেশন বাবদ আদায় হয় ৫২ কোটি টাকা। এর পর থেকেই আবাসনে নিয়মিত শিবির করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরসভা। পুর দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, ‘এমন অনেকে আছেন, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে সম্পত্তিকর জমা করতে চান। তবে পুরভবনে গিয়ে বা অনলাইনে সম্পত্তিকর দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের অনীহা রয়েছে। বাড়ির দরজায় শিবিরের আয়োজন করলে সহজেই তাঁদের থেকে বকেয়া টাকা টাকা আদায় করা যায়।’

এই প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, বাড়ির দরজাতেই মানুষ যাবতীয় পুর পরিষেবা পাক। সে জন্যই আবাসনে সম্পত্তিকর নেওয়ার জন্য শিবির করার কথা কলকাতা লাগোয়া পুরসভাগুলিকে জানানো হয়েছে। এতে বাসিন্দাদের যেমন সুবিধে হবে, তেমনই সরকারের আয়ও বাড়বে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =