রেফারির ভুলে ঘরের মাঠে লাল-হলুদের এক পয়েন্ট

গত ম্যাচটি ড্র হলেও দুর্দান্ত খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা দল মুম্বই সিটি এফসি। তাদের মাঠে চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই পারফরম্যান্স যদি ঘরের মাঠে দেখানো যেত! হয়তো খালি হাতে মাঠ ছাড়ত না ইস্টবেঙ্গল। শেষ দিকে মরণ কামড় দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা ইস্টবেঙ্গলের। পরিবর্ত হিসেবে নামা হাভিয়ের সিভেরিওর শট হাত দিয়ে আটকান মোর্তাদা ফল। তাতেও পেনাল্টি দিল না রেফারি! ভিএআর থাকলে এটি নিঃসন্দেহে পেনাল্টি। দু-বার এমন পরিস্থিতি হল।

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে গত ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিল ওড়িশা এফসি। তারা শক্তিশালী দল সন্দেহ নেই। তবে রেফারিংয়ের মান এমন হলে, ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি শুধুমাত্র ভাবনার জায়গাতেই থাকবে। শুরু থেকে অবশ্য ঘুমপাড়ানি ফুটবল। ইস্টবেঙ্গল এ দিন প্রথম একাদশে জোড়া পরিবর্তন করে। ক্রেসপোর জায়গা পারদো, বিষ্ণুর জায়গায় নন্দকুমার। প্রথমার্ধে সতর্ক ফুটবল। গোল খাওয়া চলবে না। সেই লক্ষ্যে সফল লাল-হলুদ। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। নাওরেম মহেশের জার্সি টেনে ধরেন পুইতে। তাঁকে হলুদ কার্ডও দেখান রেফারি। অবশ্য ফ্রি-কিক থেকে গোলের সামান্য আশাও জাগাতে পারেননি পারদো। বরং লেনি রডরিগজের পায়ে স্টাড মারায় হলুদ কার্ড দেখলেন সৌভিক চক্রবর্তী।

পরবর্তী ম্যাচে কার্ড সমস্যায় পাওয়া যাবে না সৌভিককে। শুরু থেকে ঘুমপাড়ানি ফুটবল খেললেও তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে জোড়া পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত ইস্টবেঙ্গল। কর্নার থেকে হওয়া মুভে বল পেয়েছিলেন সিভেরিও। তাঁর শট ওড়িশা ডিফেন্ডারের হেড। মোর্তাদা ফলের হ্যান্ড বল হয়। রিপ্লেতে পরিষ্কার ধরা পড়েছে, স্বাভাবিক পজিশনে ছিলেন না মোর্তাদা। পরিষ্কার ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল। পেনাল্টি তো দিলেনই না, উল্টে প্রতিবাদ করায় সিভেরিওকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। এমনকি টেকনিক্যাল এরিয়ায় কুয়াদ্রাতের সহকারী ডেলগাডোকেও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও একটা পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে বিষ্ণুর জার্সি ধরে টেনে ফেলে দেন জেরি। তাতেও পেনাল্টি দিলেন না রেফারি সেন্তিল নাথাস। তাঁর জোড়া সিদ্ধান্ত হতাশা বাড়াল ইস্টবেঙ্গলের। এমন জঘন্য মানের রেফারি যেন ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে।

বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে এমন অনেক সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে গিয়েছে। তেমনই মুম্বইয়ের মাঠে মোহনবাগানের ম্যাচেও জঘন্য রেফারিং হয়েছে। সেই ম্যাচে সাতটি করে রেড ও হলুদ কার্ড হয়। রেফারির ভুলে ভুগতে হয় ফুটবলারদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =