উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছে নানা কর্মসূচি। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের ছেলের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের এক কন্যার। বিমান বন্দরে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার সময় এই বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তিনি জানান, ‘৯ তারিখে হাসিমারা হয়ে আলিপুরদুয়ার যাব। ১০ তারিখ আলিপুরদুয়ারে মিটিং আছে। ১১ তারিখে চলে যাব বানারহাটে। ১১ তারিখে উত্তরকন্যায় ফিরে আসব। ১২ তারিখে শিলিগুড়িতে প্রোগ্রাম করব। প্রোগ্রাম করে ফিরে আসব। চারটে জেলা কাভার করে ফিরে আসব।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘কালকে আমি থাকব প্রোগ্রাম করব না। সব সময় পাহাড়কে ভালোবাসি। দলিতদের যেমন ভালোবাসি তপসিলিদেরও ভালোবাসি। আমাদের পরিবারের সঙ্গে একটা বিয়ে হচ্ছে পাহাড়ি মেয়ের। পাহাড় ও সমতলের সঙ্গে যে একটা বন্ধন। আমি বিয়েতে থাকি না। এখানেও থাকব না। কালকে ওরা আমার কাছে আশীর্বাদ নিতে আসবে।’
উত্তরের ৩ রাজ্যে গেরুয়া ঝড়ের পর দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক ডাকে কংগ্রেস। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফর থাকায় যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন অখিলেশ যাদব, নীতীশ কুমাররাও। এরপর সেই বৈঠক স্থগিত রাখা হয়। উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘পরশু রাহুল গান্ধি ফোন করেন। আমি জানতাম না। আমি বললাম আমি জানি না। অন্য মুখ্যমন্ত্রীরাও ব্যস্ত। আগে থেকে না জানালে হয় না। তবে আমরা মিটিং করব। তারিখ ঠিক হলে করব।’
বকেয়া নিয়ে জটিলতা কাটাতে এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাঁর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মুখোমুখি আলোচনায় বসুন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গিরিরাজ সিংয়ের বক্তব্য আমি শুনেছি। পার্লামেন্টে যখন উনি বলেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বার বৈঠক করেছি। আবার আমরা সময় চাইছি মিট করার জন্য। আমাদের দিল্লি চলো প্রোগ্রাম আছে। দিল্লি পুলিশের কাছে লিখেছি। ওরা অনুমতি দিলে তারিখ ঠিক করব।’
এদিকে, উত্তরবঙ্গ পৌঁছে ‘নাচের’ নেপথ্য কারণ জানান মুখ্যমন্ত্রী। আর গিরিরাজের নাম শুনেই উগরে দেন তীব্র বিরক্তি।