ফের পণবন্দিদের মুক্তি হামাস ও ইজরায়েলের

গাজা, ২৬ নভেম্বর: ফের বেশ কয়েকজন পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস। শনিবার দ্বিতীয় দফায় ১৭ জন মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার প্রথম দফায় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২৫ জনকে। সেই সঙ্গেই ইজরায়েলও মুক্তি দিল ৩৯ জন প্যালেস্তিনীয়কে। আপাতত চারদিনের যুদ্ধবিরতি চলছে। এর মধ্যেই হামাস মুক্তি দেবে তাদের কাছে পণবন্দি থাকা ৫০ জন ইজরায়েলিকে।
শনিবার হামাস ১৩ জন ইজরায়েলি নাগরিক ও ৪ জন বিদেশিকে মুক্তি দেয় ও তাঁদের রেড ক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে গাজা থেকে মিশরে নিয়ে আসা হয় মুক্তিপ্রাপ্তদের। যদিও এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়েছে বলে টেলিগ্রাম মারফত এক বার্তায় হামাসের তরফে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এদিকে ১৩ জন ইজরায়েলি ও ৪ জন থাই নাগরিকের মুক্তির কথা জানানো হয়েছে ইজরায়েলি সেনার তরফে।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক মুক্তিপ্রাপ্তকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এঁদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা। বাকিরা শিশু। ইতিমধ্যেই সকলেই তাঁদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। পাশাপাশি আল জাজিরা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইজরায়েলের তরফে ৩৯ জন প্যালেস্তিনীয় বন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা পূর্ব জেরুজালেমে পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পরেই পালটা আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এদিন যুদ্ধবিরতির আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগেই বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি সাময়িক। চারদিন পরই ফের গাজায় আক্রমণ চালাবে ইজরায়েলি সেনা।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন যে, ‘আমরা আমাদের সকল অপহৃতদের ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় এটি। কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তিতে গাজা থেকে মোট ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হয়েছিল। বদলে ৩ জন প্যালেস্তাইন বন্দির মুক্তি দেওয়া হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ ছিল।
ইজরায়েলি কর্মকর্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মুক্তি বন্দির রয়েছেন মা, শিশু এবং অন্যান্য মহিলা। উভয়পক্ষ একমত হয়েছে যে, হামাসের তরফে কয়েকদিন যুদ্ধবিরতি বাড়িয়ে আরও বন্দি মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। ইজরায়েল ৪ দিনের মধ্যে মোট ১৫০ প্যালেস্তাইন বন্দিকে মুক্তি দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =