ভারতের বিরুদ্ধে হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলেও, পরপর দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের জোড়া শতরানের উপর ভর করে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান তুলে নেয় অজিরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও অ্যাডাম জাম্পার স্পিনের ফাঁদে ৩০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। লেগ স্পিনার জাম্পা নিলেন ৫৩ রানে ৪ উইকেট। ফলে অস্ট্রেলিয়া ৬২ রানে জিতে মাঠ ছাড়ে। বাইশ গজ যতই পাটা হোক, ৩৬৮ রান চেজ করে দেওয়া জলভাত নয়। তবে দলটার নাম যে পাকিস্তান। অঘটন ঘটাতে যারা ওস্তাদ। টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে গত ম্যাচেই ১৯১ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ‘সবুজ বাহিনী’। তবে এটাও ঠিক যে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সর্বাধিক ৩৪৫ রান চেজ করে ইতিহাস গড়েছিল বাবর আজমের দল। তাই অজিদের বিরুদ্ধে পাক দল একেবারে হাল ছেড়ে দেবে সেটাই অনেকে মনে করেছিলেন। যদিও শেষরক্ষা হল না। ব্যাট হাতে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে মাঠ ছাড়ল ছয় বারের বিশ্বকাপ জয়ী দল। তবে চেজ দারুণ ভাবে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও আবদুল্লা শফিক। দুজন দাপটের সঙ্গে প্রথম উইকেটে ১৩৪ রান তুলে দেন। এত বড় রান চেজ করার ক্ষেত্রে সবাই বাবর আজমের দিকে চেয়েছিলেন। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক। চলতি কাপ যুদ্ধে তাঁর ব্যাটে বড় রান নেই। অধিনায়কত্বের চাপে নুব্জ বাবর। তাই তো এবারও আগ্রাসী মেজাজে শুরু করে ১৮ বলে ১৪ রানে ফিরলেন। কামিন্সের হাতে ক্যাচ ধরিয়ে তাঁকে আউট করলেন অ্যাডাম জাম্পা। ফলে ১৭৫ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে মহম্মদ রিজওয়ান হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। প্রথমে চতুর্থ উইকেটে সউদ শাকিলের সঙ্গে ৫৭ রান যোগ করার পর ইফতিকার আহমেদের সঙ্গে জুড়ে দেন ৩৭ রান। কিন্তু সেই দুটি পার্টনারশিপ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। কারণ রিজওয়ান নিজে ৪৬ রানে ফিরতেই পাকিস্তানের জয়ের সব আশা শেষ হয়ে গেল।