আইপিএলের হাত ধরে তার উত্থান। জম্মু-কাশ্মীরের অচেনা গ্রাম থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের গ্ল্যামারের প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত রাস্তাটা অতিক্রম করা সহজ ছিল না। তরুণ ফাস্ট বোলার উমরান মালিককে নিয়ে এর আগে নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন সুনীল গাভাসকার, রবি শাস্ত্রী, পাকিস্তানের রশিদ লতিফ এবং আরো কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। অবশেষে মুখ খুললেন কপিল দেব। ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কপিল জানিয়েছেন উমরান মালিক নিয়ে বাড়াবাড়ি মোটেই পছন্দ হচ্ছে না তার। কাশ্মীরের তরুণ-যুবক অবশ্যই জোরে বল করে। কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। ব্যক্তিগতভাবে উমরানকে তার পছন্দ হয়েছে। বোলিং স্টাইল, লোড আপ, রিলিজ মন কেড়েছে। কিন্তু পাশাপাশি তরুণ ফাস্ট বোলারের জন্য ভয় পাচ্ছেন কপিল। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন গতি থাকা ভাল, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক জায়গায় বল টানা রেখে যাওয়ার ক্ষমতা তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
কাশ্মীরি পেসার যাতে এই দুটি মন্ত্র সব সময় মনে রাখবেন চান কপিল। না হলে অচিরেই অনেক দারুন প্রতিভা হারিয়ে যেতে দেখা যায়। উমরানকে তাই গতির থেকেও লাইন এবং লেন্থ, পাশাপাশি সুইং করানোর ওপর নজর দিতে বলেছেন কপিল দেব। আউট সুইং এবং ইন সুইং রপ্ত করা উমরানকে কমপ্লিট ফাস্ট বোলার হতে সাহায্য করবে মনে করেন কপিল।
পাশাপাশি নিজের ফিটনেস, চোট মুক্ত থাকা এবং ডায়েট প্ল্যান সঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন কিংবদন্তি তারকা। উমরান অত্যন্ত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। এখন কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। এটা যাতে মানসিকভাবে তার ফোকাস নাড়িয়ে দিতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন হরিয়ানা হ্যারিকেন।
টাকা গুরুত্বপূর্ণ যেমন, তেমনই একজন ক্রিকেটারের জীবনে দেশের হয়ে খেলে এবং দীর্ঘদিন পারফর্ম করে যাওয়া অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মনে করিয়ে দিয়েছেন কপিল দেব। বিশেষ করে উমরান যে গতিতে বল করেন, সেটা চালিয়ে গেলে ফাস্ট বোলারের জীবন কিন্তু কমে আসে।
তাই বছর দুয়েক পরে পেস কিছুটা কমিয়ে সুইং এবং কারুকার্যের ওপর নিয়ন্ত্রণে আনা গুরুত্বপূর্ণ জানিয়েছেন কপিল। পাশাপাশি তিনি মেনে নিয়েছেন একজন ফাস্ট বোলারকে ফর্মে থাকতে থাকতে ব্যবহার করে নিতে হয়। তাই ভারতের জার্সিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে উমরান টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললে তিনি অবাক হবেন না।