রোহিতের শতরান, আফগানিস্তানকে হারাল ভারত

প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি প্রাপ্তি। সবচেয়ে বেশি ছয় মারা, বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি, মোট সেঞ্চুরির রেকর্ড। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে আলোচনায় স্পিরিট অফ ক্রিকেট। ভারতের সঙ্গে আফগান ক্রিকেটারদের বন্ধুত্ব সকলেরই জানা। মাঝে ছন্দপতন হয়েছিল বিরাট বনাম নবীনে। এত রেকর্ডের মাঝে দিল্লি দেখল অনন্য দৃশ্য। ক্রিকেট শুধু অনিশ্চয়তার খেলাই নয়, সব অর্থে জেন্টলম্যান্স গেমও। এক ম্যাচে এত্তকিছু হলে, কথা হারিয়ে যায়। এই ম্যাচ তেমনই একটা। ম্যাচের বর্ণনা হিসেবে হয়তো এক লাইনেই বলা যায়, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপে দারুণ জায়গায় টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের পর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ ম্যাচ। ভারত জিতল ৮ উইকেটের ব্যবধানে। পাকিস্তান ম্যাচের আবহ তৈরি হয়ে গেল রাজধানীতেই। দিল্লিতে এর আগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম এবং পিচে নানা পরিবর্তন হয়েছে। হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়েছিল। ভারতের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক। ভারতীয় পেসারদের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ভারতকে ২৭৩ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। এই পিচে বড় লক্ষ্য নয়। তবে গত ম্যাচে ভারতের শুরুটা যেমন হয়েছিল, কিছুটা অস্বস্তি থাকেই। এই ম্যাচে অবশ্য কোনও ভাবেই তেমন পরিস্থিতি আসতে দিলেন না রোহিত শর্মা। ঈশান কিষাণের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই যোগ করেন ১৫৬ রান। ঈশান অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি (৪৭) হাতছাড়া করেন। ঘরের মাঠে সমর্থকদের অপেক্ষা ছিল বিরাট কোহলি কখন নামবেন। ঈশানের আউটে কিছুটা হতাশা থাকলেও বিরাটের নামার আনন্দ বড় হয়ে দাঁড়ায়। গত ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেছিলেন বিরাট ও লোকেশ রাহুল। এই ম্যাচে বর্তমান ক্যাপ্টেনের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন প্রাক্তন। রোহিত শর্মা একঝাঁক রেকর্ড করেন ম্যাচে। একটা সময় মনে হয়েছিল, রোহিত-বিরাট যে ভাবে ব্যাট করছেন, ৩০ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে ভারত। রোহিত মাত্র ৮৪ বলে ১৩১ রানে ফেরেন। বিরাট কোহলি টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি। উইনিং শটও এল বিরাটের ব্যাটেই। রোহিতের রেকর্ড, ৮ উইকেটে জয়, টানা দ্বিতীয় জয়। নিজের নামাঙ্কিত প্যাভিলিয়নের সামনে বিরাট কোহলি বিশ্বকাপের ম্যাচ খেললেন, ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস, উইনিং শট। দিল্লিতে সব যেন নিখুঁত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × one =