নির্বাচনী চমক নয়। তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতি দেয় ভোট বৈতরণী পার করার পরেও সেকথা ভোলে না, তার প্রমাণ বহুবার পেয়েছে বাংলা। এবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পূরণ করার কথা ঘোষণা করলেন দলনেত্রী। সোমবার বিকালে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে দিলেন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি পৃথক মহকুমা হচ্ছেই। তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হচ্ছে এদিন থেকেই।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ধূপগুড়ি ও বানারহাটের কিছু অংশ নিয়ে তৈরি হচ্ছে ধূপগুড়ি মহকুমা। বিদেশ থেকে ফিরে এই বিষয়ে বাকি যা করার, তা তিনি করবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার স্পেন ও দুবাই সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই ধূপগুড়ি মহকুমা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী হয়ে প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে এসেছিলেন চলতি বছরে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়ি মহকুমা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সেই কথাকেই মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দিলেন, সেই ঘোষণা মতো কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ধূপগুড়িবাসী মহকুমা নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে যাচিছলেন ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করার জন্য। কিন্তু বাম জমানায় তা পূরণ হয়নি। আন্দোলনকারীদের দাবি, নাগরাকাটা, বানারহাট, ধূপগুড়ি ব্লক এবং ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকা নিয়ে নতুন মহকুমা গঠন করা হোক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ধূপগুড়িতে প্রার্থী করেছিল মিতালি রায়কে। সেই নির্বাচনে মিতালির হয়ে ভোট প্রচারে এসে মহকুমা নিয়ে আশার কথা শুনিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ধূপগুড়িকে মহকুমা করার কাজ চলছে। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পরাজয়ের পর মহকুমা করার কাজে কিছুটা ভাটা পড়ে যায়। কিন্তু এবারের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অভিষেক জানিয়ে দেন চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ধূপগুড়ি মহকুমা হচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সেই ঘোষণাকেই সরকারি মান্যতা দিলেন।