দিনভর কাজ, দৌড়াদড়ি। দিনের শেষে যেন পা-টা টনটনিয়ে যায়। কোমরটা ব্যথা হয় তাই না!
কখনও ভেবেছেন কি, দিনভর ছোটাছুটি, শরীরের ওজন সবই এসে হাঁটু, পায়ের পাতায় পড়ে। আর ধুলো, ময়লা সেটাও কিন্তু পায়েতেই লাগে।তাই দিনের শেষে শুধু ত্বক ও চুলের যত্ন না করে সময় দিন পা-কেও। দেখবেন এই পা-ও কিন্তু আপনাকে আরাম দিচ্ছে।
ফুট স্পা, বিলাসিতা না প্রয়োজনীয়তা
ফুট স্পা। ইদানীং এই নামটা ও বিষয়টার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। ফুট স্পা হল ইষদুষ্ণ জলে গরম জলে পা কে ভিজিয়ে, পায়ের ধুলো ময়লা মৃত কোষ দূর করা। ম্যাসাজের মাধ্যমে পায়ের পাতায় থাকা নার্ভগুলোকে আরাম দেওয়া, আবার তাদের সতেজ করে তোলা। সবেচেয়ে বড় ব্যাপার অনেকে পার্লারে গিয়ে ফুট স্পা করাকে বিলাসিতা ভাবলেও, এটা কিন্তু প্রয়োজনীয়তা। বিশেষত ডায়াবেটক রোগীদের ফুট স্পা বা পায়ের যত্ন নেওয়া জরুরি নয়, আবশ্যকও। কারণ, ডায়াবেটিক রোগীদের পা কেটে গেলে বা সংক্রমণ হলে সেটা সারতে দেরি হয়। তাই সেই পরিস্থিতি এড়াতে বিশেষ করে পায়ের যত্ন জরুরি।
প্রয়োজনীয়তা
রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে-দিনভর অফিস, স্কুল করতে গিয়ে জুতো পরে থাকতে হয়। পা ঘেমে গেলে দুর্গন্ধ হয়। কেটে গেলে সংক্রমণও ছড়াতে পারে। ফুট স্পা কিন্তপ পা-কে আরাম দেওয়ার পাশপাশি রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের রোগী-দিনভর স্ট্রেস, কাজের চাপ, জাঙ্কফুড খাওয়ায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠেছে।সমীক্ষা বলছে, দিনের শেষে হাল্কা গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখলে বা ফুট স্পা করলে ক্লান্তি দূর হয়। স্ট্রেস কমে। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে যা সহায়ক।
এছাড়া ভাল ঘুম, অবসাদ, উদ্বেগ দূর করতে, পায়ের সংক্রমণ এড়াতে ফুট স্পা যথেষ্ট কার্যকর। ফুট স্পা এনার্জি লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে।সবচেয়ে বড় কথা পায়ে লাগা ধুলো-ময়লা বহু রোগ ছড়ায়। এভাবে পা পরিষ্কার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল।
তাই কোমর ব্যাথা, পা ব্যাথা, ক্লান্তি দূর করতে শুরুতেই পেন কিলার না খেয়ে ফুট স্পা করুন।
বাড়িতেই ফুট স্পা
পার্লারে যেতে হবে না। বাড়িতেই গামলায় ঈষদুষ্ণ গরম জলে সামান্য নুন বা লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এর ফলে পায়ের ময়লা পরিষ্কার হবে, চামড়াও নরম হবে। এরপর পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষলে সহজেই ময়লা উঠে আসবে। অল্প টক দই, বেসন ও চালের গুঁড়ো দিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ১০ মিনিট হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করুন পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত। পা ধুয়ে ফুট ক্রিম লাগিয়ে নিন বা অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। এই সময় নখের মরা কোষও পরিষ্কার করে নিন।