নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার ছাতনার দিব্যেন্দু কর্মকার পশ্চিমবঙ্গের আর পাঁচটা শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে একজন, যাঁর একটি চাকরির প্রয়োজন রয়েছে। বিএ পাশ করে বিএড পর্যন্ত করেছেন, কিন্তু চাকরির সুযোগ হয়নি দিব্যেন্দুর। কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। তাঁর হাতের পেন্সিলের ছোঁয়ার জাদুতে পোট্রেট হয়ে ওঠে জীবন্ত। তাঁর তুলির জাদুতে মোহিত সকলে। জনপ্রিয় তারকা ধোনি থেকে অভিনেতা প্রসেনজিৎ, সব ছবিতেই যেন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন দিব্যেন্দু।
পড়াশোনা করে চাকরি জোটেনি। অথচ ছোট থেকে ছবি আঁকা না শিখেও টানাপোড়েনের সংসারে ছবি আঁকাঁটাই এখন জীবিকার একটি উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর। বাবার রয়েছে সাইকেল সারাবার একটি ছোট্ট দোকান। তাই নিজের পড়াশোনার সঙ্গে পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে দিব্যেন্দু ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আঁকা শেখান। একটা ভালো চাকরি হয়নি বলে অভিযোগ নেই দিব্যেন্দুর। তিনি আঁকতে ভালবাসেন, তাই আঁকাকেই ভরসা করে এগিয়ে যেতে চান।
মা সবসময়ই ছেলের সার্বিক উন্নতি চান। ছেলে খুব ভালো ছবি আঁকেন, এই বিষয়টা দেখতে শুনতে ভালো লাগলেও ভালো ভাবে প্রতিষ্ঠিত হোক ছেলে, এমনটাই চান তাঁর মা চন্দনা কর্মকার। যদিও ছেলের এই অসাধারণ প্রতিভার জন্যও তিনি যথেষ্ট খুশি। ভবিষ্যতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আঁকা শেখাবার একটি ßুñল খুলতে চান দিব্যেন্দু। আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান নিজের এই প্রতিভাকে।