রামনবমী পুজো নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব,হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে মেরে বিজেপি নেতার মাথা ফাটালো অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। আহত বিজেপি নেতার মোবাইল ফোনে গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি। অশোকনগর মণ্ডলের প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুশান্ত দাস ওরফে ছোটন মঙ্গলবার রাতে হাবড়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রফুল্লনগর এলাকায় কাজল চক্রবর্তী নামে একজনের বাড়িতে তিন বন্ধু নিয়ে এসেছিলেন সেখানে বসে রামনবমী পুজোর হিসেব-নিকেশ করছিলেন সেই সময় হঠাৎ বাইরে চেঁচামিচির আওয়াজ এবং সুশান্ত দাসকে হুমকি দিতে থাকে এবং গালিগালাজ করতে থাকে। প্রত্যেকের হাতেই লোহার রড, হকিস্টিক নিয়ে তারা আক্রমণ করতে এসেছিল এমনটাই ধরা পড়েছে সুশান্ত দাস এর ভিডিও করা ছবিতে। সুশান্ত দাস ওই বাড়ি থেকে বেরোতেই তার ওপরে হামলা করা হয় শরীরে একাধিক জায়গায় লোহার রড দিয়ে বারি দেওয়া হয়। মাথায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় হাবড়া থানা পুলিশ। তবে আহত বিজেপি নেতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।তিনি আমাদের ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে অশোকনগরের আরেক বিজেপির গোষ্ঠী শ্যামলেন্দুদের নেতৃত্বে, রাম নবমী পুজো এবং শোভাযাত্রা শ্যামলেন্দু গোষ্ঠী মেনে নিতে পারেনি এমনটাই অভিযোগ আহত বিজেপি নেতার। তাই তাঁর উপরে হামলার আগে বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তীর ভোট পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন এই আহত বিজেপি নেতা, সে সময় শ্যামলেন্দু দে বাঁধা দিয়েছিলেন এমনটাই অভিযোগ তার। গোটা ঘটনা তিনি আদালতে মামলা করবেন বলে জানা যায়।এই নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম অভিযুক্ত শ্যামলেন্দু দের সঙ্গে। তিনি জানান এই অভিযোগ মিথ্যা এবং আহত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল নেতা প্রদীপ সিং।বিজেপির এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।