বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আয়োজনে বিজেপি-বিরোধী দলগুলির বৈঠকের এক দিন আগেই পাটনায় পৌঁছে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আম আদমি পার্টি (আপ)-এর প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ঘটনাচক্রে, দিল্লির আমলাতন্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ)-এর বিরোধিতায় কংগ্রেসের সমর্থন না-পেলে কেজরিওয়াল পাটনা বৈঠক বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন বলেও বিরোধী শিবির সূত্রে খবর মিলেছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে পাটনায় পৌঁছন মমতা। এর পরে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের বাড়ি যান মমতা। তার আগে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির মোকাবিলায় ‘একের বিরুদ্ধে এক’ প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে বিরোধী দলগুলির ঐকমত্য হবে। আমরা সকলে এখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে এসেছি।’
লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করে বেরনোর সময় তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘অনেকদিন পর লালুপ্রসাদজির সঙ্গে দেখা হয়ে খুবই ভাল লাগছে। উনি অনেক দিনের রাজনীতিক। মাঝে তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। শরীর খুব অসুস্থ ছিল। আজ এসে দেখলাম, ওঁর শরীর অনেকটা ভাল। আমার মনে হয়, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে এখনও লালুজি অনেক বেশি দাপট নিয়ে লড়বেন। তেজস্বী, রাবড়ি দেবীর সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভাল লাগল।’
চব্বিশে লোকসভার লড়াই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বৈঠক তো শুক্রবার। বিরোধীরা সবাই মিলে বসে সব ঠিক করা হবে। ওয়ান ইজ টু ওয়ান ফর্মুলায় লড়াই হবে। সকলের সঙ্গে কথা বলে নীতি নির্ধারণ হবে।’ এরপর পাটনা সার্কিট হাউসে নীতীশ কুমারের সঙ্গেও দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টা পরে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে নিয়ে পাটনা বিমানবন্দরে পৌঁছন। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতিও বৃহস্পতি-সন্ধ্যায় পাটনায় পৌঁছেছেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে পাটনা পৌঁছবেন রাহুল গান্ধি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল।