‘কর্নাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে, ভালবাসার দোকান খুলল। মানুষ দেখিয়ে দিল ভালোবাসার জয় অবশ্যম্ভাবী।’ কর্নাটকে জয়ের খবরের মাঝেই দিল্লিতে কংগ্রেস কর্মীদের এমনই বার্তা রাহুল গান্ধির। একসঙ্গে শনিবার তিনি এই জয়কে ‘শক্তির কাছে ক্ষমতার হার’ বলে উল্লেখ করেন। বলেন, ‘একদিকে ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের ক্ষমতা রয়েছে এবং অন্যদিকে রয়েছে দরিদ্র মানুষের শক্তি। শক্তির কাছে হেরে গিয়েছে ক্ষমতা।‘
নয়া দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয় থেকে বক্তব্য রাখার সময় রাহুল প্রথমেই কংগ্রেসকে সমর্থনের জন্য কর্নাটকবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ভালবাসার কাছে ঘৃণা হেরে গিয়েছে। এবার থেকে সব রাজ্যেই এই ছবি দেখা যাবে বলেও আত্মবিশ্বাসী রাহুল। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই কর্নাটকবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।’
এদিন রাহুল তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে এও জানান, ‘কর্নাটক নির্বাচনে ঘৃণা বা গালিগালাজ কংগ্রেসের হাতিয়ার ছিল না। জনগণের বিভিন্ন ইস্য়ু নিয়ে আমরা এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি।’
এদিকে এই জয়ের পিছনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রাকেই’ কৃতিত্ব দিয়েছে কংগ্রেস। সকালেই কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্য়ান্ডেল থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তা স্পষ্ট করে দল। ৫০ মিনিটের ওই ভিডিয়োতে সোনিয়া পুত্রর জনসংযোগের ছবি নজরে আসে। ভিডিয়োতে আগাগোড়া সাদা টি-শার্টে দেখা যায় শুধু তাই নয়, সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজানো হয়েছে একটি ইংরেজি গানও। ওই ভিডিয়োর ক্যাপশনে তিনটি লাইন লিখেছে কংগ্রেস। ‘অমি অজেয়। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। হ্যাঁ, আজ আমি অপ্রতিরোধ্য।’
এদিন রাহুল গান্ধিকে দেখে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। রাহুলকেই এই কন্নড়ভূম জয়ের জন্য হিরো হিসেবে দেখছে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। এদিন তাঁর সামনে বাজি পটকা ফাটাচ্ছিলেন কর্মীরা। এখানেই কড়া হাতে কংগ্রেস কর্মীদের সামাল দিতে দেখা যায় রাহুলকে। এমন বিশৃঙ্খল উচ্ছ্বাস দেখাতে নিষেধ করে রাহুল বলেন, ‘পটাকা মত ফড়ো।’