কাজের জন্য প্রতি রাতে বন্ধ থাকছে মা উড়ালপুলে। সেখানেই শুক্রবার ভোররাতে ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গার্ডওয়ালে ধাক্কা খেয়ে উড়ালপুল থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হল যুবকের। মারাত্মকভাবে আহত আর একজন ভর্তি হাসপাতালে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
কাজ চলার জন্য ১৯ দিন ধরে রাতে বন্ধ রাখা হচ্ছে মা উড়ালপুল।কেউ যাতে ভুলবশত উড়ালপুলের রাস্তায় না আসেন তাই বিভিন্ন জায়গায় আগে থেকেই বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। প্রশ্ন উঠেছে, রাত তিনটে নাগাদ কীভাবে সেখানে পৌঁছলেন দুই বাইক আরোহী?
জানা গিয়েছে, এদিন ভোররাতে ঘটেছে দুর্ঘটনাটি। একটি বাইকে করে দুই যুবক মা উড়ালপুল থেকে এজেসি বোস রোড সংযোগকারী ফ্লাইওভারের দিকে যাওয়ার সময় গার্ডওয়ালে ধাক্কা খায় বাইক। সেই সময়ই বাইক আরোহী শুভম কুমার উড়ালপুল থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। এদিকে উড়ালপুলেই ছিটকে পড়েন বাইক চালক অঙ্কিত কুমার। তড়িঘড়ি কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা দু’জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানেই শুভমকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। আহত অঙ্কিতের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাইক চালক ও আরোহী দু’জনেই মদ্যপ ছিলেন। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। তারপরেও প্রশ্ন উঠছে পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে, ব্যারিকেডের তোয়াক্কা না করে কীভাবে তাঁরা উড়ালপুলে উঠলেন। দুর্ঘটনা এড়াতে রাজ্যের তরফে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য জুড়ে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির প্রচার করা হয়েছে। করোনার জন্য দীর্ঘদিন নাইট কার্ফিউ জারি ছিল। সেই বিধি নিষেধ উঠতেই রাতের কলকাতায় ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।