গত বেশ কয়েকটি ম্যাচে আরসিবিকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে শুধুমাত্র ব্যাটিং করছিলেন ফাফ ডুপ্লেসি। এই ম্যাচে নেতৃত্বে ফিরলেন ফাফ। টস জিতে ব্যাটিং। বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডুপ্লেসি ওপেনিং জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন। প্রথম ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে ৭ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছতে বিরাটের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান। কিন্তু সে আশা পূরণ হল না৷ রবি বিষ্ণোইয়ের বলে ৩১ রানে স্টাম্প আউট হয়ে ফেরেন বিরাট। ডুপ্লেসি একদিক আগলে রাখলেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে আরসিবি। বৃষ্টির জন্য প্রায় আধঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। দীনেশ কার্তিক ছয় মেরে শুরু করলেও ১১ বলে ১৬ রানে ফেরেন। ডুপ্লেসি, বিরাট, কার্তিক ছাড়া বাকি সকলেই ফিরলেন এক অঙ্কের রানে। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৬ রান করে আরসিবি৷লখনউ শিবিরে বড় ধাক্কা দ্বিতীয় ওভারেই। বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর চোট পান অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। স্ট্রেচারও ডাকা হয়। থাই মাসলে চোট। রাহুল স্ট্রেচার না নিলেও সাপোর্ট স্টাফের কাঁধে হাত দিয়ে কোনওরকমে হেঁটে মাঠ ছাড়েন। আরসিবির দেওয়া ১২৭ রানের লক্ষ্য খুবই ছোট মনে হয়েছিল। কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন আয়ুষ বাদোনি। দ্বিতীয় বলেই কাইল মেয়ার্সকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমান মহম্মদ সিরাজ। লক্ষ্য কম হলেও প্রত্যেকেই নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় উইকেট দিয়ে আসেন। মাত্র ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারায় লখনউ। ৭৭ রানে ৮ উইকেট। এর মধ্যে দুটো রান আউট। চোট নিয়েই ডাগ আউটে প্রস্তুত হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় রাহুলকে। ডট বলে চাপ বাড়তে থাকে ক্রমশ। শেষ চার ওভারে লখনউয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪ বলে ৪৮ রান। শেষ উইকেটে খোঁড়াতে খোঁড়াতে নামেন রাহুল। তখন লখনউয়ের চাই ৮ বলে ২৪ রান। লোকেশ রাহুল ঠিকঠাক দাঁড়াতেই পারছিলেন না। অযথা ঝুঁকি নিয়ে নামেন। যদিও ৩ বলে ০ রানে অপরাজিত থেকে বিরাটদের হাত ম্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন৷