সোমনাথ মুখার্জি, অন্ডাল : অবশেষে গাড়ি প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস।পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এই চক্রের দুই চক্রী। অভিযুক্তদের তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের ১৪ দিনের হেপাজতের আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশি সূত্রের খবর।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে চলছিল গাড়ির প্রতারণার চক্র। বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারকরা মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে সরকারি,বেসরকারি সংস্থায় ভাড়া খাটানোর নাম করে গাড়ি নিত। শুধু তাই নয়, নতুন গাড়ি কেনার জন্য ফাইন্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও টোপ দেওয়া হত। ভাড়ার নাম করে গাড়ি নিয়ে,পরে সেই গাড়ি বিক্রি করে দেওয়া হত পানাগড় অথবা অন্য কোনো কাবাড়িতে। যাতে কোনও সন্দেহ না হয় সেই জন্য গাড়ি চুরি হয়ে গেছে বলে জানিয়ে দেওয়া হত গাড়ির মালিককে। প্রতারকরা নিজেই গাড়ি চুরির অভিযোগ করত থানাতে। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল এই কারবার। এরকমই দায়ের হওয়া একটি অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে অন্ডাল থানার পুলিশ খোঁজ পায় প্রতারক চক্রের। যারা অভিযোগ দায়ের করছে তারাই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে তদন্তে নেমে জানতে পারে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার অন্ডাল থানার পুলিশ প্রতারণা চক্রের দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের একজন ইমরান খান। হিরাপুর থানার বার্নপুরের রাধানগর রোডের বাসিন্দা। অপরজন অন্ডাল থানার খাসকা জোড়ার বাসিন্দা অমিত যাদব।
ধৃতদের শুক্রবার দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে হাজির করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য মিলতে পারে বলে দাবি পুলিশের। সেজন্য তাদের ১৪ দিনে হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলেও অন্ডাল থানার এক আধিকারিক জানান।