‘বাংলার গর্ব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়’, হোর্ডিং বেহালায়

কলকাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের এই বিচারপতিকে চেনেন না এমন মানুষ বোধহয় হাতে গোনা। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদকারীদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘মসিহা’। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি কার্যত ভগবান।

তিনি যেখানেই যান, সাধারণ মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার বেহালায় তাঁকে নিয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল। ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে বেহালা নাগরিকবৃন্দের তরফ থেকে হোর্ডিং পড়ল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে। তাতে লেখা, ‘বাংলার গর্ব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।’

এর আগেই বিচারপতির জনপ্রিয়তা অবশ্য টের পাওয়া গিয়েছিল। তাঁকে একজন সত্, নির্ভীক মানুষ বলেই বিশ্বাস করেন আম জনতার একটির বড় অংশ। বড় দিনের পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুরে গিয়েছিলেন। তিনি আসছেন শুনে স্টেশন চত্বরে তখন থিকথিকে ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে থেকেই এক যুবক ঝাঁপিয়ে তাঁর পায়ে পড়ে বলেছিলেন, ‘স্যার, আপনি মানুষ নন, ভগবান।’

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বইমেলায় গিয়েছিলেন। দেখা গিয়েছিল তিনি হাঁটছেন আর কয়েকশো মানুষের ঝাঁক হাঁটছে তাঁর পিছনে। উঠছে জয়ধ্বনি।

এবার বেহালার হোর্ডিংয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে লেখা হয়েছে, ‘স্যার আপনাকে স্যালুট জানাই! আপনি শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে মনিটরিং করে সত্যের জন্য লড়াই করছেন আইনের মাধ্যমে, তাতে আমরা আপনাকে নিয়ে গর্বিত।’

যাঁরা হোর্ডিং লাগিয়েছেন তাঁদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে নাগরিকবৃন্দের তরফে একজন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘নেতাজি যেভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের লড়াইকেও আমরা সেভাবেই দেখছি। আজকে হয়তো ব্রিটিশ নেই। কিন্তু এই শাসকের মুখোশ খোলাটাও কম বড় লড়াই নয়।’

জনমানসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে এই মনোভাব গত কয়েক মাস ধরেই রয়েছে। অনেকে বলেন, ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জনগণের বিচারপতি।’ যদিও কয়েক মাস আগে খিদিরপুরের একটি গ্রন্থাগারের অনুষ্ঠানে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘এসব আমি ভাবি না। আমার কাজ মানুষ যাতে দ্রুতরা সঙ্গে বিচার পান সেটা দেখা। নইলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা উঠে যাবে। তখন তাঁরা যাবেন স্থানীয় পার্টি অফিস বা লোকাল কমিটির অফিসে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =