শনিবার সকাল থেকে শান্তনুর স্থাবর সম্পত্তির খোঁজে ইডি

শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় একযোগে শান্তনুর স্থাবর সম্পত্তির খোঁজে ইডি- আধিকারিকদের হানাদারি। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ও গেস্ট হাউজে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির আধিকারিকেরা পৌঁছে যান। নিরাপত্তার স্বার্থে সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। বলাগড়ে শান্তনুর যে গেস্ট হাউজ রয়েছে, সেখানে এদিন তল্লাশি চালায় ইডি। একইসঙ্গে হানা দেওয়া হয় চুঁচুড়াতেও। এদিকে ইডি-র কাছে খবর রয়েছে, ব্যান্ডেলে নিবেদিতা পার্কে শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার নামে একটি বাড়ি কেনা রয়েছে। এই বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। তালা ভেঙে নিবেদিতা পার্কের সেই বাড়িতেও ঢোকেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এদিকে বলাগড়ে শান্তনুর যে গেস্ট হাউজ, সেখানে কয়েকজন প্রভাবশালীর যাতায়াত ছিল বলেও জানতে পেরেছে ইডি। এদিন সেখানেও তালা ভেঙে ঢোকেন আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এলাকা ঘিরে রেখে চলে এই তল্লাশি অভিযান।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর মিলছে, বলাগড়ে শান্তনুর যে গেস্ট হাউজ, তা নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ সামনে এসেছে প্রথম থেকেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জোর করে এই জমি দখল করে গেস্ট হাউজ তৈরি করেন শান্তনু। প্রাপ্য মূল্যও জমির মালিকরা পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। এদিন সেই গেস্ট হাউজের দরজায় গিয়ে হাজির হন তদন্তকারীরা। কিন্তু কোনওভাবেই চাবি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপরই হাতুড়ি এনে সেই তালা ভাঙা হয়। ভিতরে ঢুকে বিভিন্ন ঘরেরও তালা ভাঙা হয়। এদিন ৬ জন ইডি আধিকারিক অভিযানে যান। সঙ্গে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা।
এলাকার এক বাসিন্দা জানান, স্থানীয়দের অনেককেই ডেকে নিয়ে যেত ওর সাঙ্গপাঙ্গরা। ভিতরে নিয়ে গিয়ে মারাত্মক টর্চার করত। শান্তনু বসে থাকত। বন্দুক, পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে সাঙ্গপাঙ্গরা অত্যাচার করত। হুমকি দেওয়া হতো মেরে গঙ্গায় ফেলে দেওয়ারও। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, কালো কাচে ঢাকা গাড়ি সমানে এই গেস্ট হাউজে ঢুকত। একদিন এক নীল বাতির গাড়িও ঢোকে বলে এলাকার লোকজনের বক্তব্য। গত প্রায় তিন বছর ধরে এই একই ঘটনা ঘটে চলেছে এই এলকায়।
এদিন চুঁচুড়ায় জগুদাস পাড়ায় শান্তনুর ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। যদিও এই ফ্ল্যাটের মালিকানা প্রসঙ্গে শান্তনুর শাশুড়ি জানান, ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়া। রাজনৈতিক কাজকর্মের সুবিধার জন্য সেটি ভাড়া নেন তাঁর জামাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three − one =