রেফার করার জেরে রোগী মৃত্যু কামারহাটি ইএসআই-তে

রেফার করার জেরে মৃত্যু রাজ্যে। ২টি হাসপাতাল ঘুরে কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ মৃতের পরিবারের সদস্যদের। সূত্রে খবর, কামারহাটি টেক্সম্যাকো কারখানার বছর ৩৭-এর শ্রমিক সঞ্জয় রাজভরকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাময়িক চিকিৎসা করার পরে তাকে বিপি পোদ্দার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে বিপি পোদ্দার হাসপাতালে  চিকিৎসা না হওয়ায় সেখান থেকে আবার আএসআই হাসপাতালে রোগীকে পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। আর এই ইএসআই হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পর সেই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকজন সহ কারখানার শ্রমিকরা। কামারহাটি হাসপাতালের ভিতরেই বিক্ষোভ দেখান তারা। একইসঙ্গে জানানো হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ। অর্থাৎ, এই ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যে নির্দেশই দিন না কেন তাতে রাজ্যের হাসপাতালে ‘রেফার’ রোগ কমছে না।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বেলঘড়িয়া থানা ও কামারহাটি থানার পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকের পরিবারের লোকজন। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসক আসেননি। বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখায়র কারণেই রবিবাবর সকালে মৃত্যু হয় সঞ্জয় রজভরের।

এদিকে হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় যে, চিকিৎসার প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়েছিল, তখনই রোগীর মৃত্যু হয়, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। মৃত সঞ্জয়ের পরিবারের এক সদস্য জানান, ‘সঞ্জয় টেক্সম্যাকো কারখানার শ্রমিক। কাজ করতে করতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে প্রথমে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে রেফার করা হয় বিপি পোদ্দার হাসপাতালে। আর তাতেই অনেক সময় লেগে যায়।’ সঙ্গে তিনি এও জানান, ‘বিপি পোদ্দার হাসপাতালেও কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। আবার রোগীকে সেই কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালেই নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এবার নিয়ে আসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার কোনও উচ্চবাচ্চই করেননি।’ এই ঘটনায় কারখানার অন্যান্য শ্রমিকদের অভিযোগ, যদি রেফার না করা হত ও সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা হত, তাহলে হয়ত সঞ্জয়কে বাঁচান যেত। এই অভিযোগ তুলেই তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয় হাসপাতালে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =