ফের ডি-লিট সম্মান জ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে

ফের ডি’লিট পেতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোমবার অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হবে। সূত্রে খবর, সম্মানজ্ঞাপক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। প্রসঙ্গত, শুক্রবার-ই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানানো হয়।এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় যে, ‘পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষায় উন্নয়ন সংক্রান্ত অবদানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি’লিট সম্মানে ভূষিত করা হবে।’ একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, এদিনের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট ৭৭০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস। তবে সেন্ট জেভিয়ার্স বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর আচার্য ফাদার রাফায়েল জে হাইড। সূত্রে খবর, সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ ডি’লিট সম্মান প্রদানের বিষয়টি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন।আর মুখ্যমন্ত্রীও এই সম্মান গ্রহণে রাজি হয়েছেন বলেই জানা গেছে। এদিনের এই অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্রশাসনিক ব্লকটির উদ্বোধন করবেন বলেও জানা গেছে। এই বিল্ডিং-ই উপাচার্য, রেজিস্টার, কন্ট্রোলারের অফিস হতে চলেছে।

উল্লেখ্য, অতীতে ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট সম্মানে ভূষিত করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে ডি’লিটি নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। যদিও সেই সময় সমালোচকদের জবাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বই বিক্রি হলেও কেন তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছিলেন পুরস্কার স্পৃহা তাঁর নেই। তিনি কাজের মধ্যেও লেখালিখি করেন এইমাত্র।  এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল শুভাপ্রসন্ন থেকে শুরু করে একাধিক বুদ্ধিজীবীকে।  উল্লেখযোগ্যভাবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ততার মাঝেই কবিতা লেখেন।তাঁর একাধিক বই রয়েছে এবং বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ তাঁর লেখা বই।’এরপরও এই নিয়ে বিতর্কের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত।তবে তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি। এবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকেও তাঁকে সম্মানিত করা হচ্ছে ডি’লিট উপাধিতে।  এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ডিলি’ট-এর পাশাাপাশি ভুবনেশ্বরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট প্রদান করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − seven =