খুব বড়সড় ঘটনা না ঘটলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে ২০২৪ পর্যন্ত থাকছেন সুকান্ত মজুমদারই। দিল্লিতে বিজেপির কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকের পর আপাতত এই বার্তাই স্পষ্ট কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে। অর্থাৎ সব ঠিক থাকলে, তাঁর নেতৃত্বেই লোকসভা নির্বাচন লড়বে বঙ্গের গেরুয়া শিবির। ২০২৪ পর্যন্ত বিজেপিতে আর কোনও রাজ্য সভাপতি নির্বাচন হবে না বলে মঙ্গলবার দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় স্পষ্ট ভাষাতেই। এদিকে চার বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ শিবিরের নেতৃত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। মোট ১৮ টি লোসকভা কেন্দ্র এসেছিল বিজেপির দখলে। এর মাঝে নেতৃত্বে বদল এসেছে।দলে এসেছে বেশ কিছু নতুন মুখ। বঙ্গ বিজেপির অন্দরের দ্বন্দ্বের কথাও কারও অজানা নয়। কারণ, নানা ঘটনায় তা প্রায়শই প্রকাশ্যে এসেছে বা আসছেও। এদিকে আবার রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্ত মজুমদারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে কাউকে কাউকে। তবে সব কিছুর পরও, আপাতত রাজ্য সভাপতি পদে থাকছেন সুকান্তই তা মঙ্গলবারের কার্যনির্বাহীর সমিচির বৈঠকের পর প্রায় নিশ্চিত এটা বলা যেতেই পারে।
২০২১ সালে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে নির্বাচিত হন উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার। আর দিলীপ ঘোষ হয়ে যান দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি। সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক সময় দলের অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে। তবে আপাতত সুকান্তর ওপরেই যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভরসা রাখছে, তা স্পষ্ট। শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচন নয়, তার আগে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনও বিজেপি লড়বে এই সুকান্তের-ই নেতৃত্বে। এদিকে তাঁকে নিয়ে যে বিতর্কই থাকুক না কেন, সুকান্ত বরাবরই দলের ঐক্যের কথা বলে এসেছেন। একসময় বিধানসভায় এক বৈঠকে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, দলের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি আর বিধানসভায় দায়িত্ব নেবেন শুভেন্দু অধিকারী, আর সবার ওপরে থাকবেন দিলীপ ঘোষ।
এদিকে এদিনই কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জে পি নাড্ডারও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সভাপতি থাকবেন তিনিই। ২০১৯-এর আগেও ঠিক একইভাবে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল অমিত শাহের। আর রাজ্যে দিলীপ ঘোষ সভাপতি পদে থেকে গিয়েছিলেন।