শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরাতে হবে। বৃহস্পতিবারই সুপারিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও তীব্র হল। শুক্রবার আরও কয়েক কদম এগিয়ে রাজ্যপাল বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তদন্ত করবেন। রাজ্যপাল ক্যাম্পাসকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন। কারণ সম্প্রতি মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’র সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে সভাপতিত্ব করেছিলেন ব্রাত্য। আর সেই কারণেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনেন রাজ্যপাল। আর সেই কারণেই মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের সুপারিশ ও তাতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের প্রকাশিত রিপোর্ট কার্ডের জবাবে তাঁকে পাল্টা চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজভবনের রিপোর্ট কার্ডের পাল্টা ৯ পাতার চিঠি দিয়ে রাজ্যপালের এক্তিয়ারের কথা স্মরণ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে রাজ্যপাল রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করতে চাইছেন। আইন না মেনে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই একক ভাবে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিচালনা করতে চাইছেন। ফলত তিনি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছেন বলে রাজ্য সরকারের দাবি।
রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়েছিল, সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তর বেআইনি নির্দেশ দিয়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাজ বন্ধ করিয়ে রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্য সরকার আসলে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রাজভবনের সেই দাবিরই পাল্টা দিয়েছে রাজ্য। এরই মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ব্রাত্য বসুকে অপসারণের দাবি তুলেছেন রাজ্যপাল। এই সুপারিশের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে ইতিমধ্যেই টুইটে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন ব্রাত্য বসু।