নিজস্ব প্রতিবেদন, আউশগ্রাম: কয়েকজন পড়ুয়াকে শাসন করার দাবিতে ওই পড়ুয়াদের পরিবারের লোকজন স্কুলে চড়াও হন বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় কিছু অভিভাবক শিক্ষককে বাঁচাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায় বলে দাবি। শুক্রবার বিকেলে আউশগ্রামের শিবদা গ্রামে এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিএসপি ক্রাইম সুব্রত মণ্ডল, আউশগ্রাম থানার আইসি আধুর রব খান সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অভিযোগ, শিবদা কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপূর্ব মণ্ডলকে এদিন বেশকিছু লোকজন স্কুলে চড়াও হয়ে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেন। জানা গিয়েছে, এই স্কুলে ১২৭ জন ছাত্রছাত্রী এবং ৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। একজন শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন। এদিন স্কুল ছুটির আগে পড়ুয়াদের কিছুক্ষণ খেলাধুলো করতে বলেন শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষক অপূর্ব মণ্ডলের দাবি, দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারা যখন খেলা করছিল, তখন ওই ক্লাসেরই চারজন পড়ুয়া অন্যান্য সহপাঠীদের ব্যাগ থেকে পেন, পেন্সিল ইত্যাদি বের করে নেয়। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানানোর পর ওই চারজন পড়ুয়ার কাছ থেকে সেগুলি উদ্ধার হয়। এরপর ওদের কাছ থেকে সেগুলি নিয়ে ফেরত দেওয়া হয় বাকিদের। অপূর্ববাবুর দাবি, ‘অন্যান্যদের বলি এই বিষয়টি নিয়ে যেন তারা একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া ঝামেলা না করে। আর ওই চার পড়ুয়াকে বলা হয় পরেরদিন যেন তাদের অভিভাবকরা দেখা করেন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপর স্কুলে ছুটি হয়ে যায়। শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুল বন্ধ করে যখন স্কুল ছেড়ে বেড়িয়ে আসছিলেন, তখনই ওই চার পড়ুয়ার বাড়ির লোকজন ও আত্মীয়স্বজন মিলে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন স্কুলে চলে আসেন। অভিযোগ ওঠে তাঁরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অপূর্ব মণ্ডলকে আটকে গালিগালাজ করতে থাকেন। মারধরও শুরু করেন বলে অভিযোগ। তখন পাশাপাশি বাড়ির মহিলা পুরুষ সবাই বেড়িয়ে আসেন। তাঁরা শিক্ষক শিক্ষিকাদের বাঁচাতে প্রতিরোধ করেন। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরপর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে হামলাকারীরা পুলিশকে দেখেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বলে দাবি।