নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: দশদিনের মাথায় কুলটির চিনাকুড়ির ব্যবসায়ীকে শুটআউট করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করল কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল বেসরকারি মাইক্রোফিনান্স (যার সাবেকি নাম কমিটি) সংস্থার মালিক উমাশঙ্কর চৌহান নিজের অফিসেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক যুবক এসে অফিসের বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালান। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উমাশংকর চৌহানকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ চিনাকুড়ির বাসিন্দা শিবনাথ রজক ও নিয়ামতপুরে বাসিন্দা দ্বীপ বাউরিকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার ধৃত দু’জনকে আসানসোল আদালতে পেশ করলে বিচারক ধৃতদের দশদিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উমাশংকরের সংস্থার কাছে লোন নেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কাজ করতেন শিবনাথ রজক। আর সেই আদায়ের টাকার একটা বড় অংশ উমাশঙ্করকে না দিয়ে লোপাট করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই আর্থিক তছরুপের ঘটনা জানতে পেরে যান উমাশঙ্কর চৌহান। তারপরেই উমাশঙ্করকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন এই শিবনাথ রজক। অভিযোগ, শিবনাথ উমা সম্পর্কে খুন করার জন্য এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে দ্বীপ বাউরিকে সুপারি দেন। সুপারি পেয়ে দ্বীপ উমাশঙ্কর চৌহানকে গুলি করে হত্যা করেন।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সাউথ আশিস মৌর্য জানান, ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তার তদন্ত করা হচ্ছে। তবে খুনের পিছনে আর্থিক লেনদেন বলে তদন্তে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।