কলকাতা: হাই কোর্টের নির্দেশে বগটুই কাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পরই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্রের খবর, ২১ জনের নাম এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
শনিবারের পর রবিবার সকালেও ফের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলও আরও একবার ওই গ্রামে যায়। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। রামপুরহাট থানার পুলিশের সঙ্গেও দেখা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিভিন্ন নথি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ধৃত আনারুল হোসেন-সহ ১১ জন। আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ধৃতদের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রামপুরহাট মহকুমা আদালত। রামপুরহাটের সরকারি অতিথি নিবাসে আপাতত সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। সেখানেই ধৃতদের জেরা করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। বয়ান রেকর্ড করা হবে ধৃতদের। বাতাসপুরে গিয়ে বগটুই কাণ্ডে স্বজনহারাদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিকে, বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশ নয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নিরাপত্তা দেবে সিআরপিএফ। সিবিআইয়ের সঙ্গে থাকবে ১ প্ল্যাটুন জওয়ান। সিবিআই আধিকারিকরা তদন্তের স্বার্থে যেখানে যাবেন সেখানে ৩৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান থাকবেন। এছাড়াও যে অস্থায়ী ক্যাম্পে সিবিআই আধিকারিকরা রয়েছেন সেখানেও থাকবে সিআরপিএফ।