চিলি, ৫ ফেব্রুয়ারি: চিলিতে ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ১১২ জনের মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বিপর্যস্ত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিচ। দাবানলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কারণ ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে এখনও প্রচুর মানুষের দেহ উদ্ধার হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের পরেই ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে মধ্য ও দক্ষিণ চিলির বিরাট এলাকাজুড়ে। অন্তত ২৬ হাজার হেক্টর জমি আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। দু’দিন পরও দাবানল পুরোপুরি আয়ত্ত্বে আসেনি। ৪০টি এলাকা এখনও আগুনের লেলিহান শিখার কবলে রয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর মধ্যে সমুদ্রঘেঁষা ভিনা দেল মার একদম প্রথমে রয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই ৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আকাশ থেকে ছাই ঝরছে এমন ভাবে যেন বৃষ্টি পড়ছে। কোনও মতে পালিয়েছি। আমাদের সর্বস্ব পুড়ে গিয়েছে।’
চিলির বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১১২। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ৩১টি হেলিকপ্টার। ১৪০০ জন দমকলকর্মী ও ১৩০০ জন সেনা জওয়ান উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনও ৪৩টি জায়গায় আগুন নেভাতে পারলেও,প্রবল গরমের জন্য দাবানল নিভছে না। ফলে ভয়াবহতা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকে প্রায় প্রতি বছরই গরমকালে কোথাও না কোথাও দাবানল লাগে। গত বছর দাবানলে মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জনের। প্রায় ৪ লক্ষ হেক্টর জমি পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল। চিলিতে দাবানলের প্রকোপ উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরাও।