নিজস্ব প্রতিবেদন, জামুড়িয়া: ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে জামুড়িয়ার কুনুস্তরিয়া এরিয়ার পড়াশিয়া এমডিও প্রজেক্ট (মাইন ডেভেলপার এ্যান্ড অপারেটর)। ইসিএল দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়লা উত্তোলনের জন্য এভাবেই বেসরকারি সংস্থার হাতে ভূগর্ভস্থ খনির দায়িত্ব দিয়েছে। ঠিক সে ভাবেই এই খনির কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব একটা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এলাকায় নানান সমস্যার কারণে সংস্থা ১ জুন শনিবার থেকে প্রজেক্টের কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল। সূত্র মারফত জানা যায়, এই প্রজেক্টটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ভূগর্ভস্থ খনি হিসাবে চিহ্নিত ছিল।
আর সেই কারণেই শনিবার প্রজেক্টের কয়লা উত্তোলনের কাজে লাগানো ভারী ভারী যন্ত্রাংশ অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেল বেসরকারি সংস্থাকে। পাশাপাশি সংস্থায় কর্মরত শ্রমিকদেরও ব্যাগ গুটিয়ে পায়ে হেঁটে খনি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিত্র ধরা পড়ল এদিন। সূত্র মারফত জানা যায়, এখানের এই এমডিও প্রজেক্টটি আগামী ২৫ বছরের কাজের বরাত পেয়েছিল। এখানে প্রজেক্ট হলে এলাকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হত, পাশাপাশি চাঙ্গা হত এলাকার অর্থনীতিও চাঙ্গা হত এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়দের একাংশ।
যদিও হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও কী কারণে বন্ধ এই এমডিও প্রজেক্ট সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বেসরকারি সংস্থা তরফে কেউ। অন্যদিকে ইসিএলের সংশ্লিষ্ট প্রজেক্টের তথা পড়াশিয়া কোলিয়ারির এজেন্ট মধুসূদন সিং জানান, প্রজেক্ট থেকে মেশিনপত্র অন্যত্র সরানো হচ্ছে এই বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন সাংবাদিকদের মুখেই তিনি শুনলেন প্রজেক্ট থেকে মেশিনপত্র অন্যত্র সরে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নেবেন। যদিও সূত্র জানা যায়, কোনও এক রাজনৈতিক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই বন্ধ হতে চলেছে এই প্রজেক্টটি।
এই প্রজেক্ট থেকে ভারী যন্ত্রাংশ অন্যত্র সরিয়ে নিতে আসা এক ট্রেলার ড্রাইভার জানান, তাঁদের মালিকের কাছ থেকে অর্ডার এসেছে মেশিনপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিতে আর সে কারণেই তাঁরা মালিকের নির্দেশমতো কাজ করছেন। প্রজেক্ট কেন বন্ধ সেই ব্যাপারে তাঁদের কিছু জানা নেই বলে জানান তিনি।