কলকাতা: আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রদের মধ্যে মারামারি আর তাকে কেন্দ্র করেই ঘটে গেল ধুন্ধুমার। অভিযোগ, এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থী সাত ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। কয়েকজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বচসা পরে মারধরের ঘটনায় চলে আসেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিধায়ক ডা. সুদীপ্ত রায়। আসেন স্থানীয় বিধায়ক। রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
অভিযোগ, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শনিবার। ওইদিন বিকেল চারটে নাগাদ এক ইন্টার্ন চা খেতে বের হলে তাঁকে ঘিরে ধরে কলেজেরই কিছু ছাত্র। মারধর শুরু হয়। স্টেথোস্কোপ ছুড়ে ফেলা হয়। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও কোনও সাহায্য জোটেনি বলে অভিযোগ। আরজি কর স্টুডেন্টস ইউনিটি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানায়।
তখনকার মতো ঘটনা মিটে গেলেও সোমবার চতুর্থ বর্ষের সার্জারির প্রথম পত্রের পরীক্ষার পর প্রায় সাতজনকে পালটা মারধর করা হয়। এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, ‘বিনা প্ররোচনায় মারধর করা হয়। যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা কলেজের ছাত্র হলেও ছাত্র সংসদের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নন।’ ছাত্রদের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে এই গোলমালের আঁচ পৌঁছয় স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত। কলেজের এক অধ্যাপককে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ দেন স্বয়ং স্বাস্থ্য সচিব। স্বাস্থ্যকর্তাদের নির্দেশ পেয়ে সেই অধ্যাপক বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করলে তাঁকেও কার্যত হুমকির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ স্বাস্থ্যভবনের এক কর্তার।
কয়েক মাসের ব্যবধানে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ফের ছাত্রদের মধ্যে গোলমাল বিতন্ডার ঘটনা স্বাস্থ্যভবন যে কোনওভাবেই অনুমোদন করে না তা একরকম স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওই স্বাস্থ্যকর্তা। তবে হাসপাতালের ডেপুটি সুপার বলেছেন, “গোলমাল হয়েছে। সবটা যাতে মিটে যায় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ।