ওয়ান ডে বিশ্বকাপ অতীত। এমনকি ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও। এ বার নজরে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার প্রস্তুতি কার্যত শুরু হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়েই। তবে সেই সিরিজে অনেকেই বিশ্রামে ছিলেন। এমনকি হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও। ফলে বলা যায়, আজ থেকে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু হয়ে যাচ্ছে ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। ডারবানে আজ প্রথম ম্যাচ। নেতৃত্বের অভিষেক সিরিজ জিতেছেন সূর্যকুমার যাদব। আজ শুরু তাঁর অ্যাওয়ে চ্যালেঞ্জ। বেশকিছু ভাবনাও রয়েছে। বলা যায় সুস্থ ‘মাথাব্যাথা’।
আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা থাকবেন কিনা, চিত্রটা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখতে হবে, এ আর নতুন কী! এখানেই প্রথম প্রশ্ন। ওপেনিং জুটি কী হবে? অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুভমন গিল ছিলেন না। যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ওপেন করেছেন। শুধু তাই নয়, ঋতুরাজের সেঞ্চুরির ইনিংসও রয়েছে অজিদের বিরুদ্ধে। সিরিজে সর্বাধিক রান স্কোরার ছিলেন। ওপেনিংয়ে ডান-বাঁ হাতি কম্বিনেশন রাখা হবে, বলাই যায়। সেক্ষেত্রে যশস্বীর সঙ্গে শুভমন গিল না ঋতুরাজ!
ব্যাটিং অর্ডারে তিন, চার, পাঁচ নম্বরে ধরে নেওয়া যায় শ্রেয়স আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব এবং রিঙ্কু সিং খেলবেন। এরপর কিপার-ব্যাটার জীতেশ শর্মা, রবীন্দ্র জাডেজা। এই দু-জনের ব্যাটিং অর্ডার অদল বদলও হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন জাডেজা। এই সিরিজে তিনি ভাইস ক্যাপ্টেন। জীতেশের খেলা নিয়ে সন্দেহ নেই। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই। বোলিং আক্রমণেও অন্তত দুটো জায়গা নিয়ে ভাবনার জায়গা রয়েছে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ফিরছেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর সঙ্গে অর্শদীপ, মুকেশ কুমারের খেলার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু স্পিনার কে!
রবীন্দ্র জাডেজা থাকছেন। স্কোয়াডে রয়েছেন রবি বিষ্ণোই এবং কুলদীপ যাদব। অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর অজিদের বিরুদ্ধে স্কোয়াডে থাকলেও খেলানো হয়নি। এখানে মূল লড়াই কুলদীপ ও রবি বিষ্ণোইয়ের মধ্যে। অভিজ্ঞতার নিরিখে বলাই যায় কুলদীপকে খেলানো উচিত। বোলিংয়ে বৈচিত্রও আসবে। কিন্তু অজিদের বিরুদ্ধে সর্বাধিক উইকেট শিকারি, সদ্য টি-টোয়েন্টি ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থানে জায়গা করে নেওয়া বিষ্ণোইকেও অবহেলা করার কোনও জায়গা নেই।
প্রোটিয়া শিবিরে টপ অর্ডারে অবসর নেওয়া কুইন্টন ডি’ককের জায়গায় ঢুকছেন ম্যাথিউ ব্রিৎজকে। রিজা হেনড্রিক্সের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন। তবে ব্রিৎজকে কিপিং করবেন না। তিনে নামবেন অধিনায়ক এইডেন মার্কর্যাম। চারে তরুণ ত্রিস্তান স্টাবস ও অভিজ্ঞ হেনরিখ ক্লাসেনের মধ্যে কোনও একজন। কিপার-ব্যাটার হিসেবে এই দু-জনের লড়াই। প্রোটিয়া শিবিরে দুই স্পিনার কেশব মহারাজ ও তাবরাইজ শামসি নিশ্চিত। তাদের পেস বোলিং কম্বিনেশন নিয়েও ধোঁয়াশা থাকছে।