কলকাতা: শীতের ছোঁয়ায় যেন একটু হলেও কমল সব্জির দাম। যে হারে দাম বাড়ছিল তাতে সব্জি কিনতে গিয়ে রীতিমতো ছেঁকা খাচ্ছিলেন শহরবাসী। তবে শীত পড়তেই একটু হলেও সব্জির দাম নিম্নমুখী। এর মধ্য সবথেকে বড় কথা হল, মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে দাম কমেছে আলু, পটলের মতো সবজিরও।সবজি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, শীতের ফসল বাজারে আসতেই তুলনামূলক ভাবে কমেছে সবজির দাম।এখানে একটাই আশঙ্কা, শীত চলে গেলেই কী তাহলে ফের একবার দাম বৃদ্ধি হবে সব্জির!
তবে আপাতত বাজারে যে সবজিগুলি সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে, সেই তালিকায় রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, পেঁপে। সঙ্গে দাম কমেছে পালং শাক, লাল শাক, পেঁয়াজকলিরও। সব্জি বাজারে এদিন ঘুরে দেখা যায়, জ্যোতি আলু কিলো প্রতি মিলছে ১৬থেকে ১৮ টাকায়। সেখানে চন্দ্রমুখীর দাম ২৪ থেকে ২৫ টাকা। টমেটোর দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা। ফুলকপি বিক্রি হয় পিসে। প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। বাঁধাকপিরও একই অবস্থা। তবে ফুলকপির পিসে বিক্রি বাঁধাকপি মেলে ওজনেই। কেজি প্রতি বাঁধাকপির দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা। পেঁপের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা। কড়াইশুঁটি মিলছে ৭০ টাকা কেজি হিসেবে। এদিকে পাতিলেবুর দাম পড়ছে প্রতি পিসে ২ টাকা। পেঁয়াজ কিনতে গেলে প্রতি কিলোর জন্য দিতে হবে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। কুমড়োর কিলো প্রতি দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। কাঁচা লঙ্কা বিকোচ্ছে ১০০ গ্রাম ১২ টাকা দরে। পালং শাকের আঁটি কিনতে গেলে দিতে হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা। পেঁয়াজকলির আঁটি কিনতে পড়ছে ১০ টাকা। তবে সবজির বাজারে দর কমলেও চড়া মাছের বাজার। রুই মাছ থেকে শুরু করে কাতলা, পাবদা সব মাছেরই দাম স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি।শুক্রবার মাছের বাজারে রুই মাছ গোটা মিলেছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা প্রতি কেজি। পাবদার দাম বেশ অনেকটাই বেশি। সাইজের ওপর দাম নির্ভর করেছে। ৪৫০ টাকা কেজি থেকে শুরু। কাতলা মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। ভোলা মাছের দাম ছিল ২৫০ টাকা কেজি। লটে মাছ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। কিলো প্রতি বাগদা চিংড়ি কিনতে দিতে হয়েছে ৪৫০ টাকা। ট্যাংরার দাম ছিল ১৬০ টাকা প্রতি কেজি।
এদিকে মাংসের বাজের চিকেনের দাম ছিল ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। আর গোটা মুরগি বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩৫ টাকায়। মটনের দাম ঘোরাফেরা করেছে ৭০০ থেকে ৭৪০ টাকা।